Print Date & Time : 24 August 2025 Sunday 3:41 pm

পাথরঘাটায় খ্রীষ্ট অনুসারীদের অল সোলস ডে পালন

 জপমালা রানির গির্জা সংলগ্ন কবরস্থান হাজারো মোমে আলোকিত

প্রিয়জনের সমাধিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে, ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিলেন স্বজনরা। কবরে ছিটানো হয় পবিত্র জল। কারও চোখ ছলছল করছে। কেউবা কবরের পাশে বসে আছেন। ভাবছেন স্মৃতির সহচর মানুষগুলোর কথা। তারও আগে বিশপের সঙ্গে প্রার্থনা করেছেন প্রয়াতদের আত্মার শান্তি বা স্বর্গলাভের জন্য। যারা আর ফিরে আসবে না পৃথিবীতে।  

বুধবার (২ নভেম্বর) নগরের পাথরঘাটার পবিত্র জপমালা রানির গির্জা সংলগ্ন কবরস্থান সন্ধ্যায় হাজার হাজার মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। প্রতিবছর এ দিনটিতে ‘অল সোলস ডে’ পালন করা হয়। এর জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে, বিদেশ থেকে ছুটে আসেন স্বজনরা।  

প্রার্থনার একপর্যায়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিশপ, ফাদার, ব্রাদার, সিস্টাররা বিতরণ করেন খ্রিষ্ট প্রসাদ। বাংলা ও ইংরেজি কয়্যার দলের কণ্ঠে ধর্মীয় গান আধ্যাত্মিকতার আবহ আনে এ সময়।  

চট্টগ্রাম ধর্ম প্রদেশের বিশপের পৌরহিত্যে অল সোলস ডে’র প্রার্থনা পরিচালনা করেন ফাদাররা। এ উপলক্ষে ২ সপ্তাহ ধরে কবরগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন স্বজনরা। যাদের কেউ নেই এ পৃথিবীতে তাদের কবরগুলো পরিষ্কার করে গির্জা কর্তৃপক্ষ।

টমি ডায়েস বলেন, প্রিয়জনদের স্মরণ করতেই প্রতিবছর এ দিনে আমরা কবরস্থানে আসি। কবরকে আলোকিত করি। প্রার্থনা করি। সুন্দরভাবে যাতে চলতে পারি সেজন্য যিশুর অনুগ্রহ কামনা করি। দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করি।

জীবন গোমেজ বলেন, অল সোলস ডে’র আর্থসামাজিক গুরুত্ব অনেক বেশি। এর ফলে পারিবারিক সম্পর্ক গাঢ় হয়। জীবনের তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারেন সবাই। কবর দেখলে পাপচিন্তা, খারাপ কাজ, অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগের সংকল্প জাগে। ভালো মানুষ হয়ে সৎভাবে জীবন কাটানোর ইচ্ছেশক্তি জাগ্রত হয়। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের মা, বাবা, স্বজনদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে পারি।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//নভেম্বর ০২,২০২২//