মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারীঃ
হাটহাজারীতে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শীতকালীন বিভিন্ন সবজি পাইকারেরা জমি থেকে ক্রয় করে স্থানীয় হাটবাজারে নিয়ে গিয়ে তা বিক্রি করছেন ভালো লাভেই। তবে যে দাম প্রকৃত কৃষকরা পান তাতে তারা খু্ব একটা সন্তুষ্ট নন।
সরেজমিনে গিয়ে হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়াননগরস্থ ১ নং ওয়ার্ডের কৃষক শহিদুল আলমসহ বেশ কযেকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বিভিন্ন এনজিও ও কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেন। কিন্তু ঋণের সুদ বেশি এছাড়াও বর্তমান শ্রমিকদের চড়া দাম। স্থানীয় যারা কাজ করেন তাদের দৈনিক মজুরি সাড়ে ৬/৭ শ টাকার মতো। বিভিন্ন কৃষি আনুষঙ্গিক পণ্যর ও দাম বেশি।
অন্যদিকে এ এলাকায় পানির কষ্ট সবচেয়ে বেশি। ১ ঘন্টা মেশিন চালালে ৬ শত টাকা গুনতে হয়। পানির উৎস দূরে হওয়ায় ২/৩ টা মেশিন ব্যবহার করে পানি দিতে হয় ক্ষেতে। যার কারনে খরচ বেশি পড়ে যায়। তাই অনেক প্রকৃত কৃষকরা অনেক জমি অনাবাদি ফেলে রেখেছেন।
কৃষক শহিদুল আলম শুক্রবার বিকালের দিকে দৈনিক আজাদী কে বলেন, আমি গতবারও ৭/৮ কানি জমিতে চাষাবাদ করেছিলাম, বিভিন্ন সবজি লাগিয়েছিলাম। যার মধ্যে আলু, বেগুন, টমেটো, বাধাকপি, ফুলকপি, মরিচ, শিম,ধনেপাতা ইত্যাদি সবজি ছিলো। কিন্তু সেচ পানির কস্ট, শ্রমিকের চড়া দাম, পরিবহন খরচ ইত্যাদি কারনে উৎপাদনের সাথে আয়ের মিল না পাওয়ায় এবার মাত্র আড়াই তিন কানি জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি।
এখানকার কৃষকরা জানিয়েছেন, এই পাহাড়ি এলাকায় যদি সরকারি ভাবে একটি ডিপ কল গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করা হতো তাহলে পড়ে থাকা প্রচুর অনাবাদি জমিগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার করা যেতো। তাতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে হয়তো দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও এখানকার উৎপাদিত নানারকম সবজি রপ্তানি করা যেতো।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post