রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর ঝাউতলাতে রাস্তায় বসে পান সিগারেট বিক্রি করে চলছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তপন কুমার মালীর জীবন। অন্য দশজন প্রতিবন্ধীর মতো ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে না নিয়ে রাস্তার পাশে বসে পান সিগারেট বিক্রিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। সারাদিন পান, সিগারেট বিক্রির অর্থ আর প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা দিয়েই টেনেটুনে চলছে তার সংগ্রামী জীবন।
তপন মালি জানান, তার বয়স এখন ৪৫ বছর আপজন বলতে কেউ নেই তিনি এবং তার স্ত্রী সাথী মালির দু’জনের ছোট একটি সংসার, জন্মের পর থেকেই তিনি চোখে দেখেন না, সম্বন্নিত, অন্ধশিক্ষা প্রকল্পর , তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি , তার বাড়ি গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে, তিনি ধার দেনা করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হসপিটালের ভিতরে প্লাস্টিকের দোকান দিয়েছিলো এবং সেখানে ব্যাবসা বানিজ্য ভালো না হওয়ায় এবং ব্যাবসায় লস হয়,পরে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ রোডে রাস্তার পাশে মাটিতে বসে পান ও একটি থালায় সিগারেট সাজিয়ে পান ও সিগারেট বিক্রি করে চলছে তার জীবন তবুও তিনি ভিক্ষা করবেন না , তিনি পটুয়াখালীর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
স্থানীয় হাবীব নামের এক ক্রেতা জানান, দোকানি (তপন ) চোখে দেখেন না। তবুও পণ্যের নাম বললেই কারও সহযোগিতা ছাড়াই তা বের করে দেন। আবার সঠিকভাবে টাকাও গুনে নিচ্ছেন এবং পাওনা টাকা ফেরত দিচ্ছেন। দৃষ্টিহীন হয়েও কারও কাছে হাত না পেতে পেশা হিসেবে ব্যবসা বেছে নেয়ায় সবসময়, পান সিগারেট তপনের দোকান থেকে কিনেন তিনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//