নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তিস্তার বাড়া-কমার মাঝে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার(৫১ দশমিক ৭২) প্রায় ১সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলোও নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই ভাঙন শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনাম, ভেন্ডাবাড়ী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ডানতীরের ফসলি জমির ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। নদী ভাঙনে ওই এলাকার প্রায় ৩০ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ডালিয়া পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওই এলাকার বসবাসকারী আমিনুর রহমান (৪৫), আরাফাত (৩৫) ও আহাদ আলী (৩২) উজানের ঢলে তিস্তার পাড়ে পানি বাড়া-কমার কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে প্রায় ৩০ একর আবাদি জমি তিস্তা নদীর গর্ভে চলে গেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরো অনেক আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
তাদের অভিযোগ, ভাঙনের বিষয়ে পাউবো অফিসকে জানালেও কোনো কর্মকর্তা ভাঙন এলাকা দেখতে আসেননি এবং ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়নি।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, নদীর তীর ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ফসলী জমি নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম একজন (এসও)কে পাঠিয়ে দিয়ে ছিল। তার বাঁধের ভিতরে কাজ করতে অনিচ্ছুক।
ডালিয়া পাউবোর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌল্লা জানান, ভাঙন ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//