Print Date & Time : 23 August 2025 Saturday 5:38 am

পাহাড় পুর লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর -লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাক হোসেন বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।পাহাড় পুর লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে স্থাপন করেন তিন গ্রামের সাধারণ মানুষ যার নেতৃত্ব দিয়েছেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার মিরপুর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযুদ্ধা আফতাব উদ্দীন খান,তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি দির্ঘো সময় দায়িত্ব পালন করেন,মাজ খানে পাহাড় পুর গ্রামে প্রয়াত মজিরউদ্দীন মেম্বার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন,এর আবারও বীরমুক্তিযুদ্ধা আফতাব উদ্দীন খান,২০১০ সালে লক্ষীপুর গ্রামের সন্তান জেলা জাসদের নেতা জনাব কারশেদ আলম দির্ঘো সময় দায়িত্ব পালন করেছেন,তাঁর আমলে বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবন নির্মান,প্রধানগেট,সিমানা প্রচারি,শহীদ মিনার নির্মান,সাইন্স ল্যাব,লাইব্রেরী সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সম্পুর্ণ করাহয়।
এর পরে আবারও দায়িত্বে আসেন বীরমুক্তিযুদ্ধা আফতাব উদ্দীন খান,এরপরে অদৃশ্যের শক্তির বলে সভাপতি হয়ে আসেন মোস্তাক হোসেন,মোস্তাক দায়িত্বে আসার পর বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনসেটের ঘর ভেঙে প্রায় ৩০ বান টিন বিক্রয করেন,যার মুল্য প্রায় এক লক্ষটাকা,১৫-থেকে ২০ টি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করেছে যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ লক্ষটাকা,সরকারের দেওয়া ব্রেন্চ ছিলো প্রায় একশত জোড়া সেগুলো বিক্রয় করেছে যার আনুমানিক মুল্য ২ লক্ষ্য টাকা,স্কুলের ঘরে লোহার জানালা ছিলো ৪০ টি যার আনুমানিক মুল্য ৯০ হাজার টাকা,দুইটি ঘরের ইট ছিল ৩০ হাজার যার আনুমানিক মুল্য ২ লক্ষ্যটাকা,পুর্বের সভাপতি বীরমুক্তিযুদ্ধা আফতাব উদ্দীন খানের বিদায় কালে একাউন্টে রেখেগেছে প্রায় ২ লক্ষ্য টাকা এই সমস্ত টাকার কোন কাজ তিনি বিদ্যালয়ে করেন নি? কিন্তু মোস্তাক ভারপ্রাপ্ত প্রধান জনাব ইজাজুলের নিকট থেকে জোর করে চেকনিয়ে পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ের সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে একাবাসির দাবি,এলাকার সাধারণ মানুষ সঠিক হিসাবের দাবি করেন,একই সাথে বিদ্যালয়ের যায়গাই নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাইসমিল ও দোকান নির্মানকাজ করছেন যা শিক্ষার প্ররিবেশ নষ্ট হবে।
যানাযায় স্মপ্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেছেন,ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব ইজাজুল হক,প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে দিয়ে দর্খাস্ত আহবান জানান যারা দর্খাস্ত জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে একজনের সাথে মোটা অংকের টাকার আদান প্রদান করে নিয়োগ দিবেন বলে একার জনগনের বলাবলি করছেন,একই সাথে বিদ্যালয়ে আরও তিনটি কর্মচারী শদশন্য হয়েছে বিধায় সেখানেও নিয়োগ মোটা অংকের টাকা বানিজ্যের করছে মোস্তাক এমন বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।নাম প্রকাশেঅনইচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য বিষয়টি এলাকা বাসীর নজরে আনেন।
বিষয়টি অবগত করে একার পক্ষথেকে জনসার্থে জেলা প্রশাসক, শিক্ষা অফিসার,চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ড যশোর,নির্বাহী অফিসার মিরপুর, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরপুর,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পাহাড়পুর লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে উপরোক্ত অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী বলে দাবি করেছেন সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযুদ্ধা জনাব আফতাব উদ্দীন খান,স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালিন সহ সভাপতি মোহাঃ শহিদুল ইসলাম মেম্বার,মোজাহিদুল ইসলাম মুক্তি,পাহাড়পুর গ্রামের মেম্বার ওস্কুল প্রতিষ্ঠাতা দাঁতা মোহাঃ হামিদুল ইসলাম,সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব মোহাঃ জিহাদ আলী খান,মোহাঃ আক্কাস আলী খান,মোহাঃ আজিজুল হক,মোহাঃ হাবিবুর রহমান হাবি সহ এলাকার বিশিষ্ট জনেরা। বীরমুক্তিযুদ্ধা জনাব আফতাব উদ্দীন খান বলেন স্কুলের কথা মনে হলে আমার কষ্টহয় এত কষ্ট করে প্রতিষ্ঠান তৈরি করলাম এলাকার মানুষ বাস, কাট, টাকা,জমিজায়গা দিয়ে সাহায্য করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোললাম আর এখন সবলুটপাট করে শেষ করে দিচ্ছে,আমি সংলিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি দ্রুত তদন্ত করে আসুপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন যেন করেন।