ঠাকুরগাঁও অফিস: ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ বছর ধরে কর্মরত উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা: আব্দুল জব্বার স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক(প্রশাসন) এর বদলীর আদেশ পালন না করে, আদেশ বাতিলের জন্য জোর তৎপরতা অব্যাহত রাখায় কর্মকর্তা শুণ্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে কতৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন নবাগত স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা: কামাল আহম্মেদ।
এদিকে বদলী আদেশের ১৫ দিনেও প্রাক্তন কর্র্মকর্তা দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় নবাগত প্রশাসক জনস্বাথে বিধি অনুযায়ী দায়িত্বপালন শুরু করেছেন এবং যাবতীয় অফিসিয়াল ডকুমেন্ট সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহনের ফলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রর অস্থিতিশীলতার আপাত নিরশন হয়েছে।
গত ০৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালকের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল জব্বারকে তার নিজ উপজেলাস্থ ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে বদলীর আদশে দেন। অপর দিকে কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামাল আহম্মেদ কেও তার নিজ উপজেলাস্থ পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে বদলির আদেশ প্রদান করেন। ৫ কার্য দিবসের মধ্যে উভয়কে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যথায় তাৎক্ষনিক অবমুক্ত হওয়া সহ অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহনেরকতৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ডা: কামাল আহম্মেদ নিজ দায়িত্ব হস্তান্তরপূর্বক নতুন কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসে যান এবং যোগদানপত্র দাখিল করেন, যার কপি পীরগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়েও দাখিল করেন। কিন্তু বদলী আদেশে অসন্তুষ্ঠ প্রাক্তন কর্মকর্তা ডা: আব্দুল জব্বার এই বদলী আদেশ ঠেকাতে সিভিল সার্জনের সহায়তায় মরিয়া হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে তত্বির শুরু করেন। ইতোমধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর ও যোগদানের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে যোগদান করেননি কিংবা পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বও হস্তান্তর করেননি ফলে নবাগত কর্মকর্তা তার দায়িত্ব পালন করতে পারছেননা এবং কর্মকর্তা শুন্য থাকায় হাসপাতালে নানামূখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
৮ সেপ্টেম্বর বদলি আদেশের পর থেকে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি শূন্য থাকায় গত ১৫ দিনে এ হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা,খামখেয়ালী, অরাজকতা বিরাজ করা সহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। ভর্তিকৃত রোগী ও দৈনন্দিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উপর এর প্রভাব পড়েছে বলে সোমবার হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়। এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় আলোচনা করেছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। ৩ বছর পর পর বদলী হওয়াটা একটা স্বাভাবিক প্রত্রিয়া কিন্তু বদলীর পর দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ফাকি দেয়া এবং জনগনের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত করে ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার ফন্দি ফিকিরে জনসমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরী,আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হস্তক্ষেপ জরুরী হয়ে পড়েছে।