ফেসবুকে পরিচিত হয়ে বিয়ের প্রলোভনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ। মামলায় তদন্ত করছে পিবিআই
ফেসবুকে পরিচয় অতঃপর বন্ধুত্ব এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে খুলনা পলিটেকনিক কলেজের তৃতীয় বর্ষের জনৈকা এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ! এমন ঘটনার বিচার চেয়ে আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী গ্রামের জনৈকা কিশোরীর ধর্ষণের আদালতে দায়েরকৃত মামলায় পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন শনিবার (১৯ আগস্ট) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় ভুক্তোভোগীর পরিবার অভিযোগ করেন, অভিযুক্তের পরিবার কর্তৃক মামলা তুলে নিতে এবং উক্ত বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। এসময় বিষয়টি পিবিআইকে অবহিত করেন তারা। এছাড়াও মামলার সাক্ষীদেরকে সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বরগুনা পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুরের (বিপি-৯৮১৮২১৮৪৮২) বিরুদ্ধে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে-২‘ এর আদালতে করা মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে পিবিআই।
এদিকে ভিকটিম কিশোরীর মেডিকেল সম্পন্নের পর পিবিআই-এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন গতকাল শনিবার সকালে ভিকটিমের তেলিগাতীর বাড়িতে আসেন। এ সময় তারা ভিকটিম, ভিকটিমের পরিবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মামলার সাক্ষীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় সর্বসাধারণ পিবিআইকে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হাফিজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কনস্টেবল হাফিজুর এ সকল অপকর্মের অস্ত্র হিসেবে পুলিশের পোশাককে ব্যবহার করছে। ফলে এই মহান পেশাকেও সে কুলষিত করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, মামলা দায়েরের পর তাকে এবং তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তার পক্ষে যারা সাক্ষ্য দিতে চান তাদেরকেও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। সম্প্রতি তার ব্যবহৃত মোবাইলে অভিযুক্ত হাফিজুরের ভাই আব্দুর রহিম একটি মেসেজ পাঠিয়েছে। যাতে লেখা ছিল, ‘‘তোর কপাল এ দুঃখ আছে, সহ্য করতে পারবি না’’। সর্বশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে বর্তমানে তিনি এবং তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post