Print Date & Time : 11 May 2025 Sunday 3:58 am

পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, নিহত ১; ইয়াবা কারবারি ছিনতাই

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট এলাকায় পুলিশের কাছ থেকে ২ ইয়াবা কারবারিকে ছিনিয়ে নেয়া এবং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৮ জন। নিহত নাজমা আকতার মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন ও মাদক কারবারিরা ২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায়  হানিফ ও দেলোয়ারকে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে কালুরঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান। আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে হানিফ ও দেলোয়ারকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন ও তাদের সহযোগীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও সড়ক অবরোধ করা হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশের সঙ্গে হানিফ বাহিনীর সংঘর্ষ হলে হানিফের বোন নাজমা গুলিবিদ্ধ হন এবং দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের বাসিন্দা হানিফ মোহরার ৯ নম্বর ও ৮ নম্বর রেল লাইন কেন্দ্রিক মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। তার একাজে হিজড়া নামধারী বিশাল বাহিনী রয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের  উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান জানান, পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ হানিফ ও দেলোয়ার নামে দুই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হচ্ছিল।

এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং মাদক বিক্রেতাদের সহযোগীরা। মাদক বিক্রেতা হানিফ ও দেলোয়ারকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা শুরু করে। তখন পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। ছিনিয়ে নেওয়া মাদক বিক্রেতা এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

চান্দগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নাজমা আকতার নামে একজন মহিলা মারা গেছেন। তিনি মাদক কারবারিদের সহযোগী। আহত হয়েছেন পুলিশসহ অন্তত ৮ জন। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।