দুয়ারে কড়া নাড়ছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচানের বাকী আছে ১৯ দিন ৷ সারা দেশের ন্যায় সোমবার যশোরের ৬টি আসনে কালেক্টরেট সভাকক্ষে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার প্রার্থীদের হাতে তাদের মার্কা তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা।
সূত্র জানায়, যশোরের ৬টি আসনের ৩১ জন প্রার্থী নিজে এবং তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীক বুঝে নিয়েছেন। যশোর-১ শার্শা আসনে দলীয় মনোনয়নে নৌকা পেয়েছেন শেখ আফিল উদ্দিন। জাতীয় পার্টির মনোনীত মোঃ আক্তারুজ্জামানকে দেয়া হয়েছে লাঙ্গল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক।
যশোর-২ ঝিকরগাছা-চৌগাছা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডাক্তার তৌহিদুজ্জামান পেয়েছেন নৌকা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ আব্দুল আওয়াল পেয়েছেন ডাব, জাতীয় পার্টির মোঃ ফিরোজ শাহ লাঙ্গল ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ মনোনীত মোঃ শামছুল হক পেয়েছেন দলীয় প্রতীক টেলিভিশন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীএসএম হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ঈগল ও মোঃ মনিরুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে ট্রাক প্রতীক।
যশোর-৩ সদর আসনে আওয়ামী লীগের কাজী নাবিল আহমেদ পেয়েছেন দলীয় প্রতীক নৌকা। এছাড়া দলীয় মনোনয়নে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সুমন কুমার রায় পেয়েছেন দলীয় প্রতীক আম, জাতীয় পার্টির মোঃ মাহবুব আলম বাচ্চু পেয়েছেন দলীয় প্রতীক লাঙ্গল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মোঃ মারুফ হাসান কাজল পেয়েছেন কুলা,
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত এম শাব্বির আহমেদ পেয়েছেন দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত মোঃ ইউনুছ আলীকে দেয়া হয়েছে দলীয় প্রতীক মিনার, জাতীয় পার্টির জহুরুল হক পেয়েছেন লাঙ্গল ।
যশোর -৫ মণিরামপুর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রতিমন্ত্র স্বপন ভট্টাচর্য্যকে দেয়া হয়েছে দলীয় প্রতীক নৌকা। এছাড়া দলীয় মনোনয়নে জাতীয় পার্টির এম এ হালিম পেয়েছেন লাঙ্গল, তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা পেয়েছেন সোনালী আঁশ, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী পেয়েছেন দলীয় প্রতীক মিনার।
যশোর-৬ কেশবপুর আসনে আওয়ামী লীগের মেনানীত প্রার্থী মোঃ শাহীন চাকলাদার কে দেয়া হয়েছে দলীয় প্রতীক নৌকা। এই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জিএম হাসানকে লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আজিজুল ইসলামকে ঈগল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আমির হোসেনকে কাঁচি প্রতীক দেয়া হয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রতীক নেওয়ার পর থেকেই ভোটের মাঠে পুরোদমে প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। মিছিল করতে পারবেন, শ্লোগান দিতে পারবেন। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন তারা। সেই হিসাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য এবার ১৮ দিন সময় পাবেন এমপি প্রার্থীরা। তবে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
প্রচারে প্রার্থীদের যা মানতে হবে তা হলো- পোস্টার রঙিন করা যাবে না। পোস্টারে প্রার্থী ছাড়া দলীয় প্রধানের ফটো ব্যবহার করা যাবে, তবে তা দড়িতে ঝুলিয়ে প্রচার করতে হবে। ৪’শ বর্গফুট এলাকার বেশি বড় কোনো প্যান্ডেল করে প্রচার চালানো যাবে না। কাপড়ের তৈরি ব্যানার করে প্রচার চালানো গেলেও ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে না। জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা হয়, এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে হবে।মাইকে প্রচার হতে হবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা মধ্যে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//