Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 4:24 pm

প্রধান মন্ত্রীর উপহারে স্বস্তি পেয়েছে মির্জাপুরের ৩০৭ টি পরিবার

মুজিব বর্ষের সেরা উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প-২। এই প্রকলপ্রে মাধ্যমে জমি ও পাকা ঘর পেয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে মির্জাপুরে ৩০৭টি হত দরিদ্র ও গৃহহীন পরিবার। তাদের সামনে এখন নতুন স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া নুরজাহান বেগম বললেন-স্বামী সন্তান নিয়ে রাস্তায় থাকতাম। পলিথিন ও চটের মধ্যে রোদ, বৃষ্টি ও ঝড়-তুফানে খুবই কষ্ট করতাম। কোন দিন স্বপ্নেও ভাবিনি আমাদের কপালে জমি, পাকাঘর, পাকা পায়খানা জুটবে। ঘরে ফ্যান ঘুরবে বিদু্যুতের আলো জ¦লবে। মমতাময়ী মা প্রধান মšী¿ শেখ হাসিনা আমাগো রাস্তা থেকে তুলে এনে বিনামুল্যে জমি লিখে দিয়ে পাকা ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। আমরা খুবই খুশি এবং আমরা আনন্দে আছি। প্রধান মন্ত্রী আমাদের স্বপ্ন পুরন করে দিয়েছেন। এভাবেই কথাগুলো বলে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ভবঘুরে ও হতদরিদ্র নুরজাহান বেগম (৬০)। মুজিব বর্ষে প্রধান মন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ জমি ও পাকা ঘর পেয়েছেন মত নিপেন দাস (৬৫), কমলা বেগম (৬০) ও আছমা খাতুন (৫০) একই কথা বলেছেন। আশ্রয়ন কেন্দ্রে স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে তারা খুবই খুঁশি।


আজ বুধবার মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভুমি) মীর্জা মো. জুবায়ের হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান জানান, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় যাদের জমি ও ঘর নেই গৃহ নির্মান কার্যক্রম সহায়ক হিসেবে মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের ৩০৭ জন অসহায় ভুমিহীন পরিবারকে বিনামুল্যে দুই শতক জমি, একটি করে পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য নির্মান ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। নলকুপের পানি, টিউওবয়েল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাদের জন্য। উপজেলার মহেড়া, জামুর্কি, বানাইল, আনাইতারা, ভাতগ্রাম, বহুরিয়া, ভাওড়া, লতিফপুর, আজগানা, বাঁশতৈল, ওয়ার্শি ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮ একর সরকারী খাস জমিতে আশ্রয়ন কেন্দ্রে আর ৩০৭ জন জমি ও পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। গৃহহীন এসব অসহায় পরিবারগুলো আশ্রয়ন কেন্দ্রে খুব ভাল ভাবেই আছেন। অসহায় পরিবারগুলো ভাল পরিবেশে তারা এ বছরই প্রথম ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
অসহায় শেফালী খামারপাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই পাওয়া আছমা খাতুন, কমলা বেগমসসহ অনেকেই বলেন, একটি ঘরের অভাবে রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়-তুফানের মধ্যে অনেক কষ্ট করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। আমাদের অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর কেউ রাখেননি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। জমি, পাকা ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। জমিতে সবজি রোপন করেছি। আমাদরে সন্তানেরা পড়ালেখা করছে। সারা জীবন আমরা তাদের কাছে ঋণী। এখন আর আমাদের কষ্ট করতে হবে না। একই কথা বলেছেন আশ্রয়ন কেন্দ্রে ঠাই পাওয়া ৩০৭ পরিবারের সদস্যগন।


মির্জাপুর উপজেলায় আশ্রয়ন কেদ্রের পাকা ঘর নির্মান কাজ পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেন এমপি, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. মাহবুব হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিআেদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। আশ্রয়ন কেন্দ্রে কাজের মান দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন এমপি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় মির্জাপুর উপজেলায় ৩০৭ জন ভুমিহীন অসহায় পরিবার জমি ও পাকা ঘর পেছেন। উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সম্মনয় করে সুষ্ঠুভাবে ঘরগুলো বন্টন করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ও জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষে প্রতিটি আশ্রয়ীন পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর নির্মান করে দেবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে ভুমিহীনদের তালিকা প্রনয়ন করে আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জমিসহ পাকাঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও গ্রহহীন পরিবারের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের বিনামুল্যে জমিসহ পাকা ঘর উপহার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এরাকায় জমিতে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মান কাজ চলছে।
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল/২০-১০-২০২১ ইং ।