কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : নাশকতা-বিস্ফোরকদ্রব্য ও হত্যা চেষ্টাসহ ২ মামলার কুষ্টিয়া হাইস্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল আলীম হালিম স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাবানা ইয়াসমিনের আশ্রয়ে স্কুল কোয়ার্টার ব্যাবহার করছেন বলে জানা গেছে।
জানাযায় গত আগস্ট মাসের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা জিয়ারখি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম হালিমসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৩০-৩৫ জন সংবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে গুরুত্ব রক্তাক্ত জখম করত ভীতি প্রদর্শন ও বোমার বিস্ফোরন ঘটায় ।
এ মামলার ৫০ নম্বর আসামী আব্দুল আলীম হালিম। এ ঘটনায় আহত তামিমের মা ফারজানা ইয়াসমিন বাদি হয়ে ২০/০৮/২৪ তারিখে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং ১৮/৩২০।
এছাড়াও ৫ আগষ্ট অপর এক ঘটনায় গুলিতেন আহত এরশাদ আলী বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন, যার মামলা সম্বর ২৬/৩৫৬। এ মামলায় হালিম ৩৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামী । তারিখ ২৮/০৯/২৪
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া হাই স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, আব্দুল আলিম হালিম আগে সিমেন্ট কোম্পনীতে সেলস ম্যানের চাকরি করতেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে লেখাপড়া করেছেন, তার ক্রীড়া শিক্ষকের সার্টিফিকেট জাল বলে গুন্জন আছে। তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শাবানা ম্যাডাম জানলেও অজ্ঞাত কারনে কোন পদক্ষেপ নেননি।
তিনি আরো বলেন দুদক মামলার আসামী সাবেক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান এর খুব কাছের লোক ছিলেন এই আলীম। স্কুল মার্কেটে তার ২১ টি দোকান আছে, এছাড়াও অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলেও শুনেছি। স্কুল কোয়াটারের যে ফ্লাটে খলিল স্যার থাকতেন আব্দুল আলীম এখন সেখানে থাকেন। এতে বর্তমান প্রধান শিক্ষক শাবানা ম্যাডাম এর সায় থাকায় যা ইচ্ছা তাই করেন। দুদক স্কুলে এসে আব্দুল আলিম বিষয়ে খোজ খবর নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে এজাহার ভুক্ত আসামী ক্রিড়া শিক্ষক আব্দুল আলীম হালিম তার বিরুদ্ধে ২ টি মামলার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বাদির সাথে আপোষের চেষ্টা চলছে। তিনি নিয়মিত স্কুল করছেন বলে্ও জানান। এছাড়াও তিনি এখনও জিয়ারখি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক বলেও স্বীকার করেন।
আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নাশকতা ও হত্যা চেষ্টার ২ টি মামলা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক শাবানা ইয়াসমিন জানান, আব্দুল আলীম এর নিয়োগ এনটিআরসি এর মাধ্যমে হয়েছে। বর্তমানে স্কুলের সভাপতি ডিসি স্যার। কুষ্টিয়া ডিসি শুন্য থাকায় কিছু করতে পারছি না। তার ক্রিড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ভুয়া কি না সেটা যাচাই করে দেখা হবে। বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা অফিসার স্যারকে জানানো হয়েছে। ডিসি স্যার যোগদান করার আগে আমি কিছু করতে পারছি না। স্কুল কোয়াটার ব্যাবহার করে নাশকতা করার অভিযোগে তাকে শোকজ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কুষ্টিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে অবগত করেছেন। স্কুলের সভাপতি ডিসি স্যার বা স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে জানালে আমরা বোর্ডে জানানোসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মামলার বিষয়টিসহ ঐ শিক্ষক বিষয়ে আমরাও খোঁজ নিচ্ছি।
হা/05/10/24 dtbangla

Discussion about this post