মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল : ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাসির মাইক্রোবাসে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনায় চার দিনেও উদ্ধার হয়নি লুণ্ঠিত নগদ টাকাসহ মালামাল। গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী। মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য শেষ পর্যন্ত ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত গোড়াই হাইওয়ে থানার রেকারের চালক তুহিন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ডাকাত দলের ব্যবহৃত একটি হাইয়েজ ও প্রবাসির মাইক্রোবাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্্র উদ্ধার করেছে।
আজ সোমবার মির্জাপুর থানা পুলিশ এবং মাইক্রোবাসের যাত্রী সুমাইয়া আক্তার জানান, বিউটি আক্তার (জর্দান প্রবাসি) গত বৃহস্পতিবার ( ২৯ মে) জর্দান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামার পর শুক্রবার (৩০ মে) টঙ্গি এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মোট্রো-চ-১৫-২৩৯৭) ভাড়া করেন। মাইক্রোবাসে বিউটি, সম্পা, শ^শুর আব্দুল হামিদ ও তাদের শিশু সন্তান ছিল। তাদের বাড়ি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুগান্দি গ্রামে। রাত আড়াইটার দিকে তাদের মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের পুষ্টকামুরী চরপাড়া নামক স্থানে এলে পিছন দিক থেকে আসা একটি হাইয়েজ (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-৩২০২) এসে তাদের মাইক্রোবাসটি গতিরোধ করে ৭-৮ জনের ডাকাত দল অস্্েরর মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। ডাকাত দলের হাতে পিস্তল, পুলিশের ওয়াকিটকি, পুলিশের হ্যান্ট কাপ, বন্ধুক, চাপাতি, ছুরি, লাঠি ও দা। জিম্মি করে ৫-৬ টি মেবাইল ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ তাদের মালামাল লুটে নেয়। মহাসড়ক দিয়ে টহল পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের একদল সদস্য ঘটনা দেখে ডাকাতদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা ফাঁকা ও এলাপাথরি গুলি ছুরে। ডাকাতের এলোপাথারি গুলিতে গোড়াই হাইওয়ে থানার রেকার চালক তুহিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। ডাকাত দলের সদস্যরা নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে ডাকাতির ঘটনার চার দিনেও কেউ গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় হতাশার কথা জানিয়েছেন মামলার বাদী ও তার স্বজনরা।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনায় সম্পা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকেই অপরাধীদের গ্রেফতারসহ মালামাল উদ্ধারে পুলিশের টিম কাজ করছে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) মো. আদনান মোস্তাফিজ বলেন, গত ২৯ মে দিবাগত রাতে মহাসড়কে প্রবাসির মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেরা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন টিম কাজ করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Discussion about this post