মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল : ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জর্ডান প্রবাসি বিউটি আক্তারের মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সাভার ও মিরপুর এরাকায় াভিযান চালিয়ে তাদরে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির সময় লুট হওয়া চারটি মোবাইল, নগদ ১৩ হাজার টাকা ৫০০শ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হচ্ছে বরিশালের ইউনুছ জমাদ্দারের ছেলে আব্দুল হাকিম, আমির হোসেনের চেলে সোহাগ, আসাদ আলীর ছেলে রোমান, সুবহান সিকদারের ছেলে মিলন সিকদার এবং ইয়ার হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রীয় সদস্য এবং একাধিক মামলার আসামী। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ডাকাত দলের ব্যবহৃত একটি হাইয়েজ ও প্রবাসির মাইক্রোবাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্্র উদ্ধার করেছে।
আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেলা গোয়ে›ন্দা পুলিশের ওসি (ডিবি) উত্তর এ বি এম জোহা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গত ৩০ মে রাতে প্রবাসির মাইক্রোবাসে জিম্মি করে এই ডাকাতির ঘটনায় ঘটে। ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত গোড়াই হাইওয়ে থানার রেকারের চালক তুহিন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিল সুমাইয়া আক্তার, বিউটি আক্তার (জর্দান প্রবাসি) সম্পা, আব্দুল হামিদ ও তাদের শিশু সন্তান। তাদের বাড়ি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুগান্দি গ্রামে।
শুক্রবার (৩০ মে) টঙ্গি এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মোট্রো-চ-১৫-২৩৯৭) ভাড়া করেন। রাত আড়াইটার দিকে তাদের মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের পুষ্টকামুরী চরপাড়া নামক স্থানে এলে পিছন দিক থেকে আসা একটি হাইয়েজ (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-৩২০২) এসে তাদের মাইক্রোবাসটি গতিরোধ করে ৭-৮ জনের ডাকাত দল অস্্েরর মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে।
ডাকাতদলের হাতে পিস্তল, পুলিশের ওয়াকিটকি, পুলিশের হ্যান্ট কাপ, বন্ধুক, চাপাতি, ছুরি, লাঠি ও দা। জিম্মি করে ৫-৬ টি মেবাইল ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ তাদের মালামাল লুটে নেয়। ডাকাতের এলোপাথারি গুলিতে গোড়াই হাইওয়ে থানার রেকার চালক তুহিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। ডাকাত দলের সদস্যরা নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। মামলার পর অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মহোদয়। পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোপন সংবাদ পেয়ে গতকাল সোমবার রাতেঅভিযান চালিয়ে সাভার ও মিরপুর এলাকা থেকে আন্তজেলা এই পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয। রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাদের কোর্টে নেওয়া হয়েছে।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post