চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বিকাশ লেনদেনের সূত্র ধরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
হত্যাকান্ডের পর ঢাকায় আত্মগোপন করেন আসামি। পরের দিন এক মামার কাছে বিকাশে টাকা চান। আর সেই বিকাশ লেনদেনের সূত্র ধরে সিএমপি কর্ণফুলীর থানার পুলিশ টিমের হাতেই গ্রেপ্তার হন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রমজান হত্যা মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম হৃদয় (১৯)।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের এক বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শহীদুল চরপাথরঘাটা ইছানগর গ্রামের শফি আলমের ছেলে।
রোববার (১৯ জুন) সকালেই কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান দুপুর ২টায় সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে তাকে হাজির করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানোর পরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
সূত্র জানায়, শনিবার রাতে পুলিশের কাছে তথ্য আসে কর্ণফুলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রমজান হত্যার প্রধান আসামি ঢাকায় অবস্থান করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে সেদিনেই পুলিশের একটি টিম ঢাকায় রওয়ানা হন। এরমধ্যে জানতে পারেন আসামি শহিদুল ইসলাম হৃদয় ঢাকায় পৌঁছে তার মামার কাছে বিকাশে টাকা চান। প্রযুক্তির সহায়তায় সেই বিকাশ লেনদেনের সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হন ঢাকার উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে অবস্থান করেছেন তিনি। সেখানে তার এর এক পূর্ব পরিচিত বন্ধুর বাসায় অবস্থান নিয়েছেন।
সেই বন্ধুকে জানান পরেরদিনই সে চলে যাবেন। রাতে ঐ বাসার সবাই মিলে রাতের খাবার খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সংবাদে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, সিএমপি বন্দর ডিসির দিকনির্দেশনায় কর্ণফুলী থানার ওসি মোঃ দুলাল মাহমুদের নির্দেশে এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মামলার আইও মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম রুবেল, এসআই আলমগীর হোসেন, এসআই মোবারক হোসেন, এএসআই তাজুল ও কনস্টেবল তন্ময়।
ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, রমজান হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সকল আসামিরা পলাতক ছিল। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী চরপাথরঘাটা ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইছানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে
১৬ জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ রমজান আলীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রমযানের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলমগীর বাদী হয়ে নাম উল্লেখিত ৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার প্রধান আসামি ছিলেন গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৯ জুন-২০২২//

Discussion about this post