দেড় বছর ধরে চলছিল তাদের প্রেম। কথা হয়েছিল প্রেমিক সুজন তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে। সেই আশায় বুক বেঁধে সুজনকে ভালোবেসে ছিল এক কলেজ ছাত্রী। বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার পরও গরীব বলে তার বিয়ে ভেঙে যায়। এই অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে বিষ পান করে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

সূত্রে জানা যায়, ওই প্রেমিক বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মেখলেছুর হাওলাদারের ছেলে সুজন। আর প্রেমিকা ছিলেন হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাচ্চু মোল্লার একমাত্র মেয়ে তামান্না।
দেড় বছর প্রেম চলার পর বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হয়ে যায়। এরপর পারিবারিক ভাবে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়। গত শুক্রবার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। দিন এলেই সে হবে প্রেমিকা থেকে বধূ।
সেই দিন আসার আগেই তামান্নার বাধা হয়ে দাঁড়ালো প্রেমিকের খালা মাহফুজা। সে সাফ জানিয়ে দিল। গরীবের মেয়ে এবং ওই মেয়ের মা বিদেশে থাকে তাই বোন পুতের এ বিয়ে সে হতে দিবে না। প্রেমিক প্রবর খালার কথা অমান্য করে বিয়ের পিড়িতে না বসায় নিদারুনভাবে ব্যাথাহত হলেন কলেজ ছাত্রী তামান্না।
বিয়ে না হওয়ায় গত সোমবার সকালে বিষ পান করেন তামান্না। এরপর তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একইদিন দুপুরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল শনিবার (১৮ জুন) সকালে তামান্নার মৃত্যু হয়।
তামান্নার বাবা বাচ্চু মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে সুজন হাওলাদার । এই শুক্রবারের আগের শুক্রবার আমার মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সুজনের খালা মাহফুজা আমাদের গরিব বলে এবং মেয়ের মা বিদেশে থাকে এই অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। অভিমানে আমার মেয়ে বিষপান করে।
এই বিষয়ে একাধিকবার প্রেমিক সুজন সহ তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ১৯,২০২২//

Discussion about this post