আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এ.কে.এম এনামুল হক শামীম এমপি কাদা ছুড়াছুড়ি বাদ দিয়ে, বিপদে ধৈর্য ধারনের মাধ্যমে হাওরের একমাত্র অর্থকরী বোরো ফসল রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি হাওরাঞ্চলের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবাণ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ত্রান সহায়তার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে,ইতিমধ্যে ত্রানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। বাঁধ নির্মানে পিআইসির অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, পরস্পর পরস্পরের প্রতি কাদা ছুড়াছুরি না করে বিপদে ধৈর্য ধারন করতে হবে, ফসল রক্ষা বাধঁ নিয়ে আগামী বছর নতুন ভাবে ভাবা হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সাথে হাওর রক্ষা বাঁধের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন,সরকার হাওর পাড়ের সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর রয়েছে। ৮ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ চাপতির হাওর এবং বৈশাখী বাঁধের ভাঙ্গা পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: ফজলুর রশিদ,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবীর ইমন,পাউবোর উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম, সিলেট সার্কেলের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন,পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামসুদ্দোহা, ইউএনও মাহমুদুর রহমান মামুন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল আবু সুফিয়ান,ওসি সাইফুল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন,দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এড. সোহেল আহমদ ছইল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার,দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লা, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট অভিরাম তালুকদার,মেয়র বিশ্বজিত রায়, দিরাই বাজার মহাজন সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন প্রমুখ। এরপর তিনি দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দিরাই-শাল্লার সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তার সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। নদী খননের উপর সর্বাধিক ও জরুরী গুরুত্বারোপের দাবি জানিয়ে ড.জয়া সেন গুপ্তা এমপি বলেন,নদী খননের দাবী শুধু আজকের গণদাবী নয়। দিরাই শাল্লাবাসী ৫০ বছর পূর্ব থেকে সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য,বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চাপতি হাওর উপ প্রকল্পের তাড়ল বৈশাখী বাঁধটি ভেঙ্গে তলিয়ে যায় বৃহত্তর চাপতির হাওর ও বৈশাখী হাওরের সাড়ে চার হাজার হেক্টর বোরো ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post