ফুল ভালোবাসার প্রতীক৷ যে কালারই হোকনা কেন ফুলকে ভালোবাসেনা এমন মানুষ পৃথিবীর বুকে হয়তো একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না ৷ হ্যাঁ৷ ফুলকে ঘৃণা করে এমন এক জাতি আছে সভ্য দুনিয়ায় ৷ যারা ফুলফোটার আগে কড়ি ছিড়ে ফেলতে চাই। যারা হাসিমুখে হাজার হাজার শিশু হত্যা করতে এতটুকু হৃদয় কাপেনা ৷ তারা ইসরাইল নামক এক চরম বিষাক্ত জাতি ৷ তাদের ঘরে হয়তো কোন শিশু জন্মে না !
পৃথিবীর অন্য শিশুরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মায়ের কোলে শুয়ে ঘুমপাড়ানি গান’ শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে ৷ কিন্তু ফিলিস্তিনি শিশুদের কপালে চুমু দেওয়ার জন্য চাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। কারণ চাঁদ ব্যস্ত ওই মৃত্যু উপত্যকার বাসিন্দাদের সমাহিত করার কাজে। আজকের দিনটি আগামী দিনের থেকে হয়তো ভালো,/কেবল মৃত্যুগুলোই আজ নতুন/প্রতিদিনই জন্ম নেয় যে নতুন শিশুরা/তারা ঘুমোতে যাওয়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে, মৃত্যুতে৷
গত সাত দশক ধরে ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলিদের বন্দুক-বোমার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে আছে এই শিশুরা। এই সাত দশকে সাতটি প্রজন্মের এমন হাজারো শিশু ঝরে গেছে। কিন্তু গাজাবাসী জানে তারা নিজে মরলেও জাতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই ধ্বংসপ্রায় ফিলিস্তিনি জাতিকে টেকাতে, অজস্র মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শূন্যস্থান ভরাটের জন্য আরও আরও সন্তানের জন্ম দিয়ে চলে তারা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত দেড় মাসে গাজায় তীব্র বোমা বর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজারে মধ্যে অর্ধেকই শিশু । ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১৫ মিনিটে একজন করে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে।
একজন ফিলিস্তিনি মা তার ছেলেকে দুইবার বহন করেন। একবার গর্ভধারণের সময়। আরেকবার মৃত্যুর সময়।তাই বুঝি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ছাদখোলা কারাগারে জীবন-মৃত্যুর অঙ্ক কষতে থাকা ফিলিস্তিনিরা মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় মরণ অবধারিত জেনেও গুলতি কিংবা পাথর হাতে সটান দাঁড়িয়ে যান ভয়াল ট্যাঙ্কের সামনে।
পৃথিবীর ইতিহাস বলে দিনের পরে রাত্রি যেমন আসে, তেমনি রাতের পরে দিনের আলো উদ্ভাসিত হয় ৷ অত্যাচারিরা চিরদিন স্থায়ী হয়না। ফেরাউন যেমন তার রাজত্ব হারানোর ভয়ে অসংখ্য শিশু হত্যা করেছিলো ৷ কিন্তু ফেরাউনের ঘরেই জন্মেছিলো হযরত মুসা (আঃ)। তেমনি ফিলিস্তিনে কোন মায়ের কোলে জন্ম নেবে মহাবীর গাজী সুলতান মাহমুদ আইয়্যবী ৷ যার হাত ধরে নির্যাতিত ফিলিস্তিনীরা
পাবে স্বাধীনতার মুক্তির মহা পয়গাম।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post