রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ। পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

একই জমি দুই জনের কাছে বিক্রি করেছেন। প্রথম ক্রেতা এর প্রতিবাদ করেছিলেন। এজন্য তার নামে ৩০ টিরও অধিক মামলা দিয়েছেন এক মামলাবাজ। মামলা মোকাবিলা করতে করতে একজন ক্রেতা সব হারিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওই মামলাবাজের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত ওই আবেদনে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার চরকালী বাজাইল গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াজ উদ্দীন একই গ্রামের আব্দুর রহমানের নিকট থেকে জমি কিনেছিলেন। ওই জমির পরমিান ছিল এক দাগে ২০ শতাংশ ও আরেক দাগে ৩০ শতাংশ। কেনা জমি রিয়াজ উদ্দীন দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছিলেন।
হঠাৎ তিনি জানতে পারেন জমি বিক্রেতা আব্দুর রহমান একই জমি গোপনে আরো একজনের কাছে বিক্রি করেছেন। এরপর তিনি এরপ্রতিবাদ করেন। এরপর শুরু হয় বিরোধ। প্রথমে বিরোধ নিজেরা সুরাহা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। এরপর তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে মিমাংশার চেষ্টা করেন। তারা ফেল করার পর বিষয়টি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেন। তিনিও এই ঘটনার মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। তারাপর ওই বিরোধ মিমাংশার জন্য আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জমি ক্রেতা রিয়াজ উদ্দিন প্রতিকার চাইতে আদালতে যাওয়ার আগেই জমি বিক্রেতা আব্দুর রহমান ও তার পুত্র আব্দুল কুদ্দুস জমি ক্রেতাকে মামলা দিয়ে কাবু করার কৌশল বেছে নেন। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে শুরু করেন।
এ যাবৎ জমি বিক্রেতা আব্দুর রহমান ও তার পুত্র আব্দুল কুদ্দুস ফুলবাড়িয়া থানা ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফুলবাড়িয়া আমলি আদালতে রিয়াজ উদ্দীনসহ চরকালী বাজাইল গ্রামের অনেক নিরীহ মানুষের নামে প্রায় ৩০টি মামলা ও জিডি দায়ের করেছেন। এর মধ্যে ২৭টি মামলা মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। কোর্টও মামলাগুলো খারিজ করে দিয়েছেন।
এরপরও মামলাবাজ এই চক্র মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। তারা পবিত্র রমজান মাসেও পুলিশের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
মামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে তাদের পরিবারের সবাই শরীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে জমি বিক্রেতা আব্দুর রহমান জানান, আমরা মামাতো ফুফাতো ভাই। পারিবারিকভাবে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ৩০টি মামলার মধ্যে ২৭টি মামলা মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক এ সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ১৪,২০২২//

Discussion about this post