স্টাফ রিপোর্টার:
ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়িয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। তবে সপ্তম আসর থেকে সবকিছু বদলে যায়। সেবার পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে কেবল স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ।
চলতি বছর আয়োজিত অষ্টম বিপিএলের সময় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ বিপিএলে এক বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি করে বিসিবি। এবারের বিপিএলে মাত্র তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি সম্ভব হয়। বাকি ৩টি দল চালায় বিসিবি নিজে।
তবে আসন্ন নবম আসর থেকে নিজেদের সেই জায়গা থেকে সরে আসতে চাইছে বিসিবি। সামনের বছরের বিপিএল থেকে শুরু করে সামনের তিন বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি করতে চাইছে বিসিবি। সেজন্য সামনের তিন বছরের বিপিএলের সূচিও চূড়ান্ত করেছে তারা।
২০২৩ সালে নবম আসর শুরু হবে ৫ জানুয়ারি থেকে। ৪৩ দিনব্যাপী চলা টুর্নামেন্ট থামবে ১৬ ফেব্রুয়ারিতে। ২০২৪ সালে বিপিএলের দশম আসর শুরু হবে ৬ জানুয়ারি। এবারও ৪ত দিন দৈর্ঘ্যের টুর্নামেন্টটি থামবে ১৭ ফেব্রুয়ারিতে।
একাদশ আসরের বিপিএলে অবশ্য এক দিন কমে ৪২ দিনের আয়োজিত হবে। ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় সেই টুর্নামেন্ট ১ জানুয়ারিতে শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ ছাড়াও সামনের বছর থেকে ৭ দলের বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে।
আজ (১৭ জুলাই) বিসিবির বৈঠক শেষে বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বিপিএল ইস্যুতে বলেন, আগামী তিন বছরে বিপিএল কখন হবে সেটা নির্ধারণ হয়েছে। কারণ, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ৩ বছরের জন্য দল দেব। এখন যেহেতু তারিখ হয়ে গেছে, এখন এক সপ্তাহের মধ্যে বাকিটা নির্ধারিত হয়ে যাবে।
পাপন আরও বলেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য দল দিলে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিজেদের পরিকল্পনা ঠিক করার সময় পায়। সেটা বিবেচনা করে সামনে আগের মতো সব থাকবে, তাও না। কিছু কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা সব বিষয়গুলো পরিষ্কার করেই বিজ্ঞাপন দেব। টার্মস ও কন্ডিশনগুলো কিছুদিনের মধ্যেই নির্ধারণ হয়ে যাবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল/

Discussion about this post