জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ‘একুশে বই মেলা আজ প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। বইমেলায় বাঙালি তাঁর নিজের শেকড়কে খুঁজে পায়। বইমেলা আজ মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মহান একুশে স্মারক সম্মাননা পদক-২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় নগরীর সিআরবির শিরিষতলা প্রাঙ্গণের এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের বই মেলায় কলকতা, ঢাকা ও আগরতলার গুণি সাহিত্যিকদেরও ডাকা হবে। এটা আন্তর্জাতিক বইমেলার রুপান্তর করা হবে। মানুষে মানুষে ঐক্য বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হলো সংস্কৃতি আর বই।’
তিনি আরও বলেন, ভাষা আন্দোলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। তখন তিনি তরণ বয়সি। কারাগারে বসেই বঙ্গবন্ধুই সে সময় সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন ২১ ফেব্রুয়ারী প্রতিবাদ দিবস পালন করা হবে। পাকিস্তান সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় সরকারে যখন আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে তখন ১৯৫৬ সালেই ২১ ফেব্রুয়ারীকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাবে জাতিসংঘে স্বীকৃতি লাভ করে। যা শেখ হাসিনার অবদান।
ড. হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে প্রজন্ম পরম্পরায় ছড়িয়ে দিতে সিটি কর্পোরেশন প্রতিবছর বই মেলার আয়োজন করেন। বই মেলাকে আরও গঠনমূলক ও সর্বসাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্য করার লক্ষে আরও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। যাতে সুন্দর ও পরিকল্পিত হয় বই মেলা।
এবার মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (মরণোত্তর), শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় মো. নাছির উদ্দিন (মরণোত্তর), চিকিৎসায় প্রফেসর ডা. মো. গোফরানুল হক, নাট্যকলায় শিশির দত্ত, শিক্ষায় প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, সাংবাদিকতায় জসীম চৌধুরী সবুজ, সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে রুশো মাহমুদ, সঙ্গীতে শ্রেয়সী রায়, ক্রীড়ায় জাকির হোসেন লুলু, চলচ্চিত্র নির্মাণ ও গবেষণায় (স্বল্পদৈর্ঘ্য) শৈবাল চৌধুরী, চসিকের সাহিত্য পুরস্কার পাবেন প্রবন্ধে (গবেষণা) শামসুল আরেফীন ও ড. শামসুদ্দীন শিশির, কবিতায় আবসার হাবীব ও ভাগ্যধন বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যে অরুণ শীল ও শিবু কান্তি দাশসহ ১৭ জনকে চসিকের একুশে স্মারক সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার গ্রহণ করার পর পদকপ্রাপ্তরা মঞ্চে এসে তাঁদের স্ব স্ব অনুভূতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রীরা জাতীয় সংগীত ও দেশীয় সংস্কৃতির গান পরিবেশন করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post