Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 8:59 pm

বকশীগঞ্জে গাছে বেঁধে গৃহবধুকে নির্যাতন

বড় জা আটক। স্বামীসহ ভাসুর ও তার স্ত্রীরা পলাতক

জামালপুরের বকশীগঞ্জে গাছের সাথে বেঁধে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগে বড় জা কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামীসহ ভাসুর ও তার স্ত্রীরা পলাতক রয়েছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মালিরচর জিগাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা সূত্র জানা যায়, ১২ বছর আগে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমাছ আলীর ছোট ভাই আসাদুল হক ও দেওয়ানগঞ্জের ঝাউডাঙ্গা গ্রামের মাহজন মিয়ার মেয়ে মাহামুদা আক্তার বিয়ে হয়। বছর ৩ আগে আসাদুল সৌদি আরবে চলে যায়। মাস খানেক আগে আসাদুল দেশে ফিরে এসে স্ত্রী মাহমুদাকে নির্যাতন করতে থাকেন।

গত মাসের ২৩ তারিখে আসাদুল তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ীতে রেখে আসেন। এদিকে বিভিন্নভাবে মাহামুদা শোনতে থাকে তাকে তালাক দিয়েছে। খবর শোনে সোমবার দুপুরে মাহামুদা স্বামীর বাড়ীতে আসলে তার ৩ জা ও স্বামী মিলে একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করা হয় বড় জা শীলা বেগমকে। বাকীরা সবাই বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়টি অস্বীকার করে নির্যাতিতার ভাসুর বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বলেন, তার ছোট ভাই এর স্ত্রী মাহামুদা বেগম বাড়ীতে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে নিবৃত্ত করতে গাছে সাথে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় একটি তালাক নামাও দেখানো হয়।

মাহামুদা আক্তারের মা মনোয়ারা বেগম জানান, মেয়ের সুখের জন্য ৫ লাখ খরচ করে মেয়ে জামাই আসাদুলকে বিদেশ পাঠানো হয়েছে। বিদেশে গিয়ে সমস্ত টাকা পয়সা বড় ভাই ও ভাবীদের নামে পাঠিয়ে দেয় আসাদুল। মাহামুদার নামে মাত্র প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা হাত খরচ দিত। দেশে ফিরে মাহামুদার সাথে খারাপ আচারন করতে থাকে। সোমবার দুপুরে বাড়ী ফিরে আসলে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে আসাদুল ও তার ভাই ও তার স্ত্রীরা।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফ উদ্দিন জানান, ঘটনা শোনার সাথে সাথে গৃহবধুকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় শীলা বেগম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ৫,২০২২//