স্ব. ডী. এস. দত্তের পুণ্যতিথি উপলক্ষে ১১ ই জুলাই বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্থার ৩২৪ তম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাহিত্য সংস্থার উপ -সভাপতি স্মৃতি দত্তের বাড়িতে উনার স্বামী স্ব. ডী. এস. দত্ত সাহেবের পুণ্যতিথি উপলক্ষে ছিল এই আয়োজন। ওই আসরে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্থার বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য কবি ও লেখক শ্রী দীপক সরকার।
এতে সভাপতি ও স্ব. ডী. এস. দত্তের পরিবারের সদস্যরা তাঁর তৈল চিত্রের সম্মুখে ধুপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন। সংস্থার সচিব গোবিন্দ পাল স্বর্গীয় দত্ত সাহেবের একটি বইয়ের লেখা উদ্ধৃতি করেন। সহ -সচিব প্রকাশ মন্ডল স্বর্গীয় দত্ত সাহেবের সৎ ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে একটি ঘটনা ব্যক্ত করেন। স্মৃতি দত্ত তার স্বামী স্ব. ডী. এস. দত্তের সাথে কাটানো জীবনের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এই অনুষ্ঠানে স্মৃতি দত্তের সদ্য প্রকাশিত গল্পের একটি বই উন্মোচন করেন সভাপতি দীপক সরকার। দীপক সরকারের নুতন প্রকাশিত বইটি উন্মোচন করেন স্মৃতি দত্ত। এরপর শুরু হয় কবিতা পাঠ ও গানের আসর। এতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, সংস্থার সদস্যা বন্দনা সিন্হা, বাসুদেব ভট্টাচার্য, পল্লব চ্যাটার্জি, বাণী চক্রবর্তী, সুভেন্দু বাগচি, স্মৃতি দত্ত, প্রকাশ মন্ডল, সমরেন্দ্র বিশ্বাস, গোপেশ রঞ্জন। চাকরী জীবনের গল্প শোনান পুলিন বিহারী পাল। নারী নির্যাতন ও পুরুষ প্রধান সমাজের কুসংস্কার নিয়ে একটি গল্প পড়ে শোনান সংস্থার প্রধান সম্পাদক দুলাল সমাদ্দার। গোবিন্দ পাল করনার উপর একটি ছড়া, একটি হিন্দি ব্যাঙ্গ কবিতা ও নিজের লেখা পেরোডী গান শুনান। স্মৃতি দত্তের মেয়ে অপর্ণা রায় প্রসুন জোসীর একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। পুত্রবধু ও বন্দনা সিন্হার মেয়ে লতা মঙ্গেসকরের বিখ্যাত গান কুছ পাকর খোনা হ্যায়, কুছ খোকর পানা হ্যায়, জিন্দগী ওউর কুছ ভী নহী আনা অউর জানা হ্যায় পরিবেশন করেন। এই সাহিত্য আসরে স্মৃতি দত্তের বেয়ায় ভার্মা সাহেব ও দেবনাথ বাবু উপস্থিত ছিলেন।