বাগেরহাট প্রতিনিধি :১ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুঁটকি আহরণে নিয়োজিত জেলে ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই রাজস্ব সংগ্রহ করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। যা গেল বছরের থেকে প্রায় এক কোটি টাকা বেশি। গেল বছর ২০২০-২১ সালে এই রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে মৌসুমের শুরুতে কয়েক দফা ঝড় বৃষ্টিতে মাছ নষ্ট না হলে রাজস্বের পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত বলে দাবি করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
টানা পাঁচ মাস মাছ আহরণের পরে বন বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শেষ করেছেন জেলেরা। বেশিরভাগ জেলেই জনমানব শূন্য সুন্দরবন ছেড়ে পরিবার পরিজনের কাছে চলে গেছেন। এখনও কিছু জেলে ও ব্যবসায়ীরা সুন্দরবনে রয়েছেন। যারা নিজেদের মালামাল গুছিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, গেল বছরের থেকে এবার শুঁটকির উৎপাদন যেমন বেশি হয়েছে। রাজস্বও তেমনি বেশি হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমরা ৪ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজারা টাকা রাজস্ব আদায় করেছি। যা গেল বারের তুলনায় প্রায় এক কোটি টাকা বেশি। আশাকরি আগামীতেও রাজস্বের পরিমাণ বাড়বে। যদি বড় ধরনের কোনো ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়েন জেলেরা।
তিনি আরও বলেন, এবার মৌসুমের শুরু ও মাঝে বড় ধরনের দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৫ কোটি টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়েছে জেলেদের। তারপরেও মাছ ভাল পাওয়ায় জেলেরা তাদের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবে।
প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর পাড়ের দুবলা, আলোরকোল, মেহেরআলী চরসহ কয়েকটি চরে পলিথিন, কাঠ ও খড় দিয়ে অস্থায়ী তাবু করে বসবাস করেন জেলেরা। এই পাঁচ মাস প্রায় ১৫ হাজার জেলে বহদ্দর মাছ আহরণ করেন। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রক্রিয়া করে কোনো প্রকার কেমিক্যাল ছাড়া শুধুমাত্র রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করেন তারা। রাসায়নিক মুক্ত শুঁটকি হওয়ায় দুবলার চরের শুঁটকির খ্যাতি রয়েছে দেশে বিদেশে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post