বিতরণ করছেন ৩ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা। ৫০১ পরিবারকে ১ কোটি টাকা ব্যায়ে ঘর করে দিয়েছেন। ১০০ গরু কোরবানি করে মাংস বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। বৃহৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য নানাভাবে পাশে দাঁড়ানোর কাজ করে চলেছেন।
এখন পর্যন্ত ১ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০ হাজারের অধিক পরিবারের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করেছেন তিনি। তাছাড়া, বন্যায় ঘর হারানো ৫০১ পরিবারকে ১ কোটি টাকা ব্যায়ে ঘর নির্মাণ ও সিলেটে আরো ১ কোটি টাকা খরচ করে ১০০ গরু দিয়ে কোরবানির দিন মাংস বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
তার এই মানবিক কার্যক্রম গত ১৯ জুন রবিবার থেকে শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে। তিনি ধারাবাহিকভাবে সুনামগঞ্জ সদর, পৌর এলাকা, জগন্নাথপুর, নবী নগর, মইনপুর, হালুয়ার ঘাট, ধোপাখালী সুইস গেইট, সুরমা, দারাইর গাও, হাল্লরগাও, খাইনতর ও দোয়ারা বাজার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সরবরাহ করেছেন।
এরপর বন্যাদুর্গত কুড়িগ্রামের উলিপুর, বেগমগঞ্জ, পাঁচগাছি ইউনিয়ন, যাত্রাপুর, চরযাত্রাপুর, পোড়ারচর, ওয়াপদা, ফরাজী পাড়া, ভাইটেল সহ বিভিন্ন এলাকায় ৫ হাজার বন্যার্ত পরিবারের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
নেত্রকোণার সিধলি ইউনিয়নে বন্যায় ঘর হারানো একজন অসহায় মহিলাকে ঘর নির্মাণ ও ৫০০ মানুষকে শাড়ী ও লুঙ্গি উপহার দেওয়া হয়।
কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও নিকলী হাওর এলাকায় পানিবন্দী ৫ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সরবরাহ করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। তাছাড়া, ফিলিস্তিন দূতাবাস থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৪ টন খাদ্যসামগ্রী এবং ঢাকাস্থ ও.আই.সি’র দেশগুলোর পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরো ৯ টন খাদ্যসামগ্রী ফারাজ করিম চৌধুরীর মাধ্যমে সিলেটের কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর এলাকায় প্রদান করা হচ্ছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি দূর্গত এলাকায় নারীদের জন্য ৫ হাজার স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী৷
সেই সাথে ঘর নির্মাণের জন্য ১ কোটি টাকা ব্যয়ে মালামাল আনার গাড়ী ভাড়া, শ্রমিকদের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ সহ উন্নত মানের টিন ও বাঁশ ক্রয় করা হয়েছে। যেগুলো দিয়ে নিজেদের মজুরীতে ৫০১ টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এসব ঘরের মধ্যে ৩৫০ টি হবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে, ১৫০ টি হবে কুড়িগ্রামে ও ১ টি হবে নেত্রকোণায়।
সিলেটের বন্যার্ত মানুষের জন্য ১০০ টি গরু কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। এই কার্যক্রমে গরু আনা-নেওয়া, কোরবানির আগ পর্যন্ত খাবার খাওয়ানো, কসাইদের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রতিটি গরু ১০০ কেজি করে ১০ হাজার কেজি গরুর মাংস প্রতিজনকে ১ কেজি করে ১০ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই সাথে বন্যার্ত এলাকার মানুষের জন্য আরো ৫ হাজার পাঞ্জাবী ও শাড়ী বিতরণ করা হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ০২,২০২২//

Discussion about this post