নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে উজানের পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত ১ আগষ্ট বিপদসীমার ২৫ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যার ফলে চর ও নিম্নঞ্চালের প্রায় এক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ে।
ডালিয়া পাউবো বোর্ড সূত্রে, ব্যারেজের উজান এলাকা স্বাভাবিক রাখতে ৪৪টি গেটে খুলে রাখা হয়েছে । নিম্নঞ্চালগুলোকে সর্বদা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সর্বচ্চো ২৫ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তা আজ দুপুর তিনটায় (৫১দশমিক ৯৫ সে.মি) যা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে, নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ী, কিছামত ছাতনাই, পার কিছামত, খোকারচরসহ মোট ১০টি চরের ১০ হাজার পরিবার ও ১৮ হেক্টর ফসলি জমি পানি বন্দি হয়ে পড়ে। বন্যা দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ার ফলে গোড়া পঁচা ও ধানের ফুল নষ্টের শঙ্কায় চাষি।
সিদ্দিক নামের এক কৃষক জানান, বন্যার পানি পুরো এলাকায় প্রবেশ করেছে। আমাদের এলাকার প্রায় পনেরো হেক্টর জমি পানি বদ্ধি হয়ে আছে। পানি বন্দি অবস্থায় থাকার কারণে ধান গাছের গোড়া পঁচন, মাঝড়া ও ধানের ফুলর ক্ষতি হতে পারে বলে জানান।
আলম নামের আরেক জন বলেন, পানি বন্দি হওয়ার ফলে রোয়া খেতে পলিতে ভরে গেছে। আমরা দুশ্চিন্তায় এবারের চাষাবাদ নিয়ে।
এবিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বন্যায় পানিবন্দি হওয়ার ফলে চরাঞ্চেলের ১৮ হেক্টরের মতো জমি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষি মাঠ কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৩ সেপ্টেম্বর-২০২২

Discussion about this post