সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ আহত। বিএনপির ১৩ জন গ্রেফতার
বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমতলী উপজেলা বিএনপি ডাকা সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলা চালায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে এ কে স্কুল সংলগ্ন চৌরাস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ১৩ জনকে আটক করেছে আমতলী থানা পুলিশ।
জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যলয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভা শেষে বিএনপির নেতা কর্মীরা কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে বিক্ষোভ করতে চাইলে আমতলী থানা পুলিশ এতে বাঁধা প্রদান করে।
এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির নেতা কর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। এতে ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন- এসআই দাদন মিয়া (৪৩), এসআই শহীদুল আলম (৪৮), এএসআই কামাল উদ্দিন (৩৮) এএসআই সোহরাব (৩৪) ও পুলিশ সদস্য কবির খান (৪০) আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দাদন মিয়া ও শহীদুল আলমকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনার পরপরই পুলিশ বিএনপি অফিসসহ আশপাশের এলাকায় সাঁরাশি অভিযান চালিয়ে বিএনপির আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামানি হিরুসহ ১৩ নেতা কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানা পুলিশ।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, আমরা শান্তিপূর্নভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। পুলিশ বিনা কারনে আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে লাঠি চার্জ করে। এরপর আমাদের নেতা কর্মীদের আটক করেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিনা উস্কানিতে বিএনপির নেতা কর্মীরা আমাদের পুলিশের উপর হামল করেছে। হামলায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারী কাজে বাধাদানসহ পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ১৩,২০২২//

Discussion about this post