মোঃ রাসেল,বরগুনাঃ ৬৫ দিনের দীর্ঘদিনের অবরোধ কাটিয়ে শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টার পর মাছ শিকারের জন্য নেমে পড়েন বরগুনার উপকূলের জেলেরা। প্রথম দিনেই জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে।
জাল ভর্তি ইলিশ মাছ পাওয়ায় জেলেদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ যেন এক স্বপ্নের যাত্রা শেষে সোনার হরিণ পাওয়ার মত অবস্থা। তড়িঘড়ি করে নদী ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করে প্রথম দিন বাজারে মাছ বিক্রি করেছেন জেলেরা।
দীর্ঘদিন পর ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে এলে ট্রলার মালিক, অনেক আড়তদার ও জেলেদের আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে।
(২৪জুলাই) সন্ধার ৭ টা নাগাদ দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এই মৎস্য ঘাটে ২০ থেকে ২৫টি মাছ ধরা ট্রলার নোঙর করা আছে। ওই ট্রলার গুলো থেকে ঘাট শ্রমিকরা মাছ উঠাছে অপরদিকে টল সেটে মাছ বিক্রি হচ্ছে।
ট্রলার মালিক কামাল গাজী জানান, আজকে আমার দুইটি ট্রলার নদীর মোহনাতে গিয়েছিলো আর বাকি ট্রালার গুলো গভীর সমুদ্রে গিয়েছে। নদীর মোহনায় যে দুটো ট্রলার গিয়েছিলো সেগুলো মাছ বিক্রির জন্য ঘাটে এসেছে আশানুরুপ ভালো মাছ পেয়েছে এখন বিক্রি করার পরে বলতে পারবো কত টাকা বিক্রি হবে।
নদীর মোহনা গামী ট্রলারের মাঝি মনু হারুন মৃধা বলেন, আমরা নদীর মোহনায় মাছ শিকার করতে গিয়েছিলাম অনেক ভালো মাছ পেয়েছি। মাছের সাইজ ও অনেক ভালো আমরা অবরোধের সুফল পাচ্ছি।
জেলে সোহেল বলেন, নদীর মোহনায় গিয়েছিলাম মাছ শিকার করার জন্য এবার অবরোধের পরে আমরা অনেক বেশি মাছ পেয়েছি। অবরোধের এই ৬৫ দিন যাবত ঘরে বসে কাটিয়েছি এখন বেশি মাছে পেলে সংসারটা ভালো করে চলবে।
জেলে সমিতির সভাপতি দুলাল মাঝি বলেন, জেলেরা আশানুরুপ বেশি মাছ পাচ্ছে আর মাছের সাইজ ও অনেক বড়। আমরা আসা করতেছি যে এই ৬৫ দিনে জেলেরা যে লোকসানে ছিলো সেগুলো আবার কাটিয়ে উঠবে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, প্রথম দিনেই অন্তত ২৫টি মাছ ধরা ট্রলার পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে এসেছে এ থেকে বোঝা যায় ভালো মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এতে ভালো দামও পাওয়া যাবে।
পাথরঘটা বিএফডিসির মার্কেটিং অফিসার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, প্রথম দিনে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য বাজারে(২৪ জুলাই) সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৪৫ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৭৮০ কেজি অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ২শ ৬৫ কেজি। মোট মাছ বিক্রি হয়েছে ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৮৪ হাজার ৪৬০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে প্রতিদিনই যেমন ট্রলারের সংখ্যা বাড়বে, মাছের সংখ্যা বাড়বে, তেমনি সরকারের রাজস্বও বাড়বে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post