মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেছেন, “বর্তমান সরকার যদি কোনো ষড়যন্ত্র করে, গাংনীর মানুষ তাকেও ক্ষমা করবে না।”
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমজাদ হোসেন উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আরও স্বচ্ছ হোন। যদি মনে করেন আমরা কিছু বুঝতে পারিনি, তবে সেটা আপনাদের ভুল হবে। বিসিএস দিয়ে যারা এখানে এসেছেন, আমরা ৪০ বছর বিসিএস পড়াই, মানুষকে পড়াচ্ছি। সেই যোগ্যতা নিয়েই আজ এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি।
তিনি আরও বলেন, গাংনী থেকে ষড়যন্ত্র ভুলে যান। আমি শুধু ইউএনও সাহেবকে বলছি না, উপজেলা প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে বলছি। যদি ব্যতিক্রম করেন তবে এখানেই জনসভা হবে না, উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও করে জনসভা হবে।
তিনি বলেন, ১৭ বছর জেল খেটেছি, ১৯টি মামলার আসামি হয়েছি। এর মধ্যে ৫টি মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দেয়া হয়েছিল। ভাগ্য ভালো, মায়ের দুধের জোরে একজন উকিলের পরামর্শ নিয়ে আপিল করেছিলাম বলেই আজও বেঁচে আছি। দেশে অনেক নেতাকর্মীর জেল হতে দেখেছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপাধ্যক্ষ গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন।
এ সময় মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান বুলবুল, সাবেক পৌর কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন, রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম, ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও গাংনী থানা বিএনপির সাবেক সদস্য নূর ইসলাম, ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান টমা, কাথুলি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সাহিনুর রহমান, কাজিপুর বিএনপির নেতা গোলাম কিবরিয়া মিঠু, সাবেক ইউপি সদস্য লিটন, গাংনী পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল হক সুমন, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য আব্দুর মতিনসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post