বইছে হিমেল হাওয়া। শীতে জবুথবু উত্তরাঞ্চল। তার মধ্যে বলতেই হচ্ছে, হাড় কাঁপানো মাঘের শীতে বাঘে পালায় ওরেপ বাপরে বাপ। এই শীতে বসুন্ধরার দেওয়া কম্বল গায়ে জড়িয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় খোয়ারপাড়া মহল্লার ১১০ বছর বয়সী রূপম বিবি বললেন., ‘ঠাণ্ডাত কষ্টে আচুনু। তারপুর বিষ্টি আর বাতাসে গা থাইকি শীত য্যায় না। কম্বলখানি প্যায়া বাঁচনু বাবা রে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে বুধবার দুপুরে গুরুদাসপুর মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পত্রিকা হকারসহ ২৫০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী। এর আগে বড়াইগ্রাম উপজেলার রামেশ্বরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১১টায় কম্বল বিতরণ করেন প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন পিঞ্জু। বড়াইগ্রামের রোলভা বাজারের রহমত মিয়া (৭০), হালিমা বেগম (৯০), সখিনা বেওয়াসহ (৮১) অনেকেই কম্বল পেয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের সমৃদ্ধি কামনা করেন।
একই দিন ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়। কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ধুনট উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল হক মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ।
নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার আয়োজনে কুন্দারহাট হাই স্কুল মাঠে শীতার্তদের মাঝে ২০০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরার এসব কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্তরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘ নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন রানা।
কালের কণ্ঠের যুগপূর্তি উপলক্ষে যশোরের অভয়নগরে এতিম ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অভয়নগর উপজেলা শুভসংঘের আয়োজনে বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয় মাঠে চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

Discussion about this post