স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে যখন অর্থপাচার নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে তখনই সুইস ব্যাংকে টাকা জমার রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশিরা।
গেল এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ জমা করেছেন। এর আগে এক বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে এত টাকা রাখার নজির বাংলাদেশিদের নেই।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক-এসএনবি বৃহস্পতিবার ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২২’ শিরোনামে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আট হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা জমিয়েছেন বাংলাদেশিরা। এর আগে ২০২০ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার মতো।
অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে আরও দুই হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা গচ্ছিত করেছে বাংলাদেশিরা।
এসএনবি’র তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০১৮ সালের শেষে এই অর্থের পরিমাণ কমে হয় ৬২ কোটি সুইস ফ্রাঁ। ২০১৯ সালে এসে দাঁড়ায় ৬০ কোটি ৩০ লাখ ফ্রাঁতে। সবশেষে ২০২০ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, যদি কোনো বাংলাদেশি তার নাগরিকত্ব গোপন করে অর্থ জমা রেখে থাকেন, তবে ওই টাকা এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অবশ্য মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি’র হিসেবে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে থাকে ৭১ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্বের মধ্যে সুইস ব্যাংকগুলোতে ৩৭৯ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ জমা রেখে এগিয়ে রয়েছেন যুক্তরাজ্য। এরপরই ১৬৮ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ জমা রেখে দ্বিতীয় অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া তালিকার শীর্ষ ১০ এ থাকা অন্য দেশগুলো হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জার্মানি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, হংকং, লুক্সেমবার্গ, বাহামাস, নেদারল্যান্ডস ও কেম্যান।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post