বাজার যেন লাগামহীন ঘোড়া। লাফিয়ে বাড়ছে চাল-ডাল, মাছ-মাংস, ডিম- দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম। বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে উঠছে প্রতারণার অভিযোগ, বোর্ডে দেওয়া নেই মূল্যতালিকাও। এসব তেলেসমাতিতে বিপাকে সাধারণ মানুষ।
সংবাদকর্মীর প্রশ্নের জবাবে সব সবজিরই কেজি প্রতি দাম বলছিলেন বিক্রেতা। তবে এক ক্রেতা চলে আসলে তার কাছে কেজিতে দশ টাকা বেশিতে দাম হাঁকালেন বিক্রেতা। মুহূর্তেই কিভাবে কেজিতে দশ টাকা দাম বেড়ে গেলো তা জানতে চাইলে ক্রেতারা উত্তর, “যা দাব বলছি তা দিয়ে তো আর কিনবেনা, দামাদামি করে কিছু কম দিবে।”
এই পরিস্থিতিতে ক্ষব্ধ ক্রেতারা। একজন ক্রেতার অভিযোগ, মিডিয়ার লোকজন দেখলেই দাম কমায় বিক্রেতারা, এছাড়া বাকি সময় দাম বাড়তি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তালিকা আছে পণ্যমূর্যের, কিন্তু লেখা নেই দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ, আরো নানা প্রতারণা করে তাদের পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা।
একজন ক্রেতা বলেন, “তালিকায় দাম লেখা থাকলে আমরা স্বস্তির সাথে কিনতে পারি। কিন্তু কখনও বাজারে এসে তালিকায় মূল্য লেখা পাইনা।”
শুক্রবার কারওয়ানবাজারে মুরগির মাংস আগের বাড়তি দামে বিক্রি হলেও বেড়েই চলেছে ডিমের দাম।
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে আবারো বেড়েছে সব ধরনের মাছের দামও। একজন মাছ বিক্রেতা বলেন, “বিলের মাছ বাজারে পাওয়াই যায়না। তাই দাব বাড়তি।”
গরম চাল-ডালের বাজারও। তবে ভোজ্যতেল স্থির হয়ে আছে ঈদের পরে বাড়ানো দামেই। নিত্যপণ্যের মূল্যচাপে গলদঘর্ম সাধারণ মানুষ।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বন্যা ও আসন্ন বাজেটের অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতারা বলছেন, সঠিক তদারকি থাকলে ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পেতেন না বিক্রেতারা।
জা//দেশতথ্য/২৮-০৫-২০২২//১২.০৬ পি এম

Discussion about this post