মারফত আফ্রিদী, মিরপুর: বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অন্যায় একে প্রতিহত করুন, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন। বাল্য বিবাহ বন্ধে সবার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো হওয়া বাধ্যতামূলক। অশিক্ষা, দারিদ্র, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারনে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছে। বাল্য বিবাহের কারণে নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া এতে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
উঠান বৈঠকে বাল্য বিবাহের পাশাপাশি মাদক সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু সুন্দর সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের জন্য সুস্থ মস্তিস্ক একান্ত কাম্য। মাদক মানুষের বিবেক-বুদ্ধিকে নস্যাৎ করে দেয়। মাদকের করাল থাবায় যে একবার পড়েছে তার আর রক্ষা নাই। একটি পরিবার ধ্বংস করতে একজন মাদকসেবীই যথেষ্ট। তাই মাদকের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাই সচেতন হলেই সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ ও মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন মিরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী ও তথ্য সেবা কেন্দ্রের হাসি খাতুন। এসময় উঠান বৈঠকে স্থানীয় নারী অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post