বাশের তৈরি সামগ্রী পরিবহনে ব্যাবহার করেন নিজস্ব ভ্যান গাড়ি। গাড়ির সাথে লাগানো প্রচারের জন্য রয়েছে ছোট মাইক। কয়েক বছর ধরে বাশ দিয়ে তৈরি সামগ্রী বিক্রি করেই চলছে তার সংসার।
সহদেব জানান, আমাদের গ্রামে অনেকেই বাঁশ দিয়ে সামগ্রী তৈরি করেন। তবে আমি শুধু বাঁশের চাটাই তৈরি করি নিজ হাতে। বাকি সব সামগ্রী বিভিন্ন কারিগরদের কাছ থেকে ক্রয় করে ফেরি করে বিক্রি করি। আমি প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করি। এতে মোটামুটি সংসার চলছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ফেরি করেন তিনি। কুলো, চালুন, ডালা, চাই, ঝাড়ু, চাটাই ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে আরও কয়েক ধরনের সামগ্রী।
বাঁশের তৈরি শিল্প বাঙ্গালির পুরনো ঐতিহ্য। এই শিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। এসব সামগ্রী হাতের কাছে পেয়ে খুব খুশি গ্রামের মহিলা ক্রেতারা। ধানের কাজের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এসব পন্য কর করছে অনেকেই। এই বাশের তৈরি সামগ্রী ফেরি করে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করছেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার গুজামানিকা এলাকার সহদেব। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝে ব্যাংক ঋন ও ধার-দেনায় পুজি খাটিয়ে করছেন এই পুরনো ব্যাবসা।
সহদেব আরও জানান, বর্তমানের তুলনায় আগে এই পণ্যের চাহিদা ছিল বেশি। লাভও হতো বেশি। তবে ধান কাটার সময়ে চাহিদা একটু বেড়ে যায়, তখন বিক্রিও একটু বাড়ে। নিজস্ব পুঁজি না থাকায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, ধার-দেনা করে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
ফুলকোঁচা ইউনিয়নের কোনামালঞ্চ গ্রামের স্বপ্না বেগম নামে এক গৃহিণী জানান, বাঁশের তৈরি এসব গৃহস্থালি পণ্য বাড়ি বাড়ি নিয়ে আসায় আমরা আমাদের পছন্দমত জিনিস কিনতে পারছি। এসব পণ্য আমাদের হাতের নাগালে পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি।
মকবুল মিয়া নামে এক কৃষক জানান, বাঁশের তৈরি পণ্য বাড়িতে নিয়ে আসায় বাজার থেকে ক্রয় করার ঝামেলা থাকছে না। এখানে দেখেই ভালো মানের পণ্য ক্রয় করতে পারছি। এটা আমরা উপকৃত হচ্ছি।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ৮ নভেম্বর ২০২৩