রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী: সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি খ্যাত সাগরকন্যা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ।যে সমুদ্র সৈকত থেকে একসাথে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত ।
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখতে প্রতি বছরই দেশের দূর- দুরান্ত থেকে ছুটে আসে প্রায় লক্ষাধিক দেশী-বিদেশী পর্যটক এই সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা দেখতে আসে ।দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমনপিপাসুরা গাড়ি নিয়ে কুয়াকাটায় আসে সাচ্ছন্দ্যে। তবে এসেই পরে গাড়িং পার্কিংয়ের অবস্থাপনায় চরম ভোগান্তিতে পর্যটকদের।
গাড়ি পার্কিংয়ের অব্যবস্থাপনার কারি কারি অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। লোকাল, পরিবহন, অটোরিকশা, অটোভ্যান, মালবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য সব যানবাহন গুলো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যে যেখানে ইচ্ছে পার্কিং করে রাখেন সড়কের দুইপাশেই, পর্যাটকদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হেটে যেতেই অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় পর্যটকদের।
পদ্মা সেতু চালুর পর পরই কুয়াকাটাগামী যানবাহনের ব্যাপক চাপ বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় কুয়াকাটা থেকে মহিপুর প্রায় ৫ কিলোমিটার ধরে প্রায় অর্ধশত বাস বিশৃঙ্খলা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মেইন সড়কের দু-পাশে এতে পর্যটক সহ এলাকার জনসাধারণের চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো বাস টার্মিনাল না থাকায় মেইন সড়কের দুই পাশে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীবাহী পরিবহন। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় । নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন না পর্যটক ও স্হানীয় সহ সাধারণ জনগন। এতে ক্ষোভ জানান পর্যটকরা ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য ২০২২সালের জানুয়ারিতে কুয়াকাটার তুলাতলী নামক স্হানে “কুয়াকাটা পৌর বাস টার্মিনাল” নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকার থেকেও বেশি । এই টার্মিনাল নির্মাণ ৩০ জুন কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো বাকি রয়েছে দুই তৃতীয়াংশ কাজ। শুধুমাত্র বালু ভরাট আর সীমানা প্রাচীরের কিছু অংশের কাজ শেষ হইলেও বাকি রয়েছে অন্যসব কাজ ।
এলাকাবাসীর ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সহ সকলের অভিযোগ পৌর কর্তৃপক্ষের গাফেলতিতে ও কাজের ধীরগতির জন্যই এখনো ঝুলে রয়েছে কুয়াকাটা বাসীর এতো বছরের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সেই বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ।
এ অবস্থায় দ্রুত বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
তবে পৌর মেয়র বলছেন, পর্যটকদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে টার্মিনালের কাজ। কতদিন লাগবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করি।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রতিদিন কুয়াকাটার উদ্দেশে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসে ৩২টি এসি, নন-এসি ও ভিআইপি সহ অর্ধশতাধিক লোকাল বাস।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//