আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়দাতা বিএনপি।
তিনি মঙ্গলবার ( ১৭ আগস্ট) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে- ‘২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঘৃণ্যতম সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে’ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ সভার আয়োজনে ছিল ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে সারাদেশে ঘৃণ্যতম সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় তাদের চুপ থাকা প্রমান করে এর সঙ্গে ক্ষমতাশীন সরকারের সম্পৃক্ততা ছিল। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার পরে আরও অনেকগুলো বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকি বিচারপতিসহ কয়েকজন কে বোমা হামলা করে হত্যা করা হয়। এর পিছনে কারা ছিলো? কারা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদদ দিয়েছে? তখন যারা ক্ষমতায় ছিলো, তারা এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদদ দিয়েছিলো। তাদের চিন্তা ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলা।
দেশের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ আসছে। সেগুলো মোকাবিলা করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে পুনরায় সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করা বিএনপিকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার শেখায় কেমন করে। যদি সাহস থাকে খালেদার প্রকৃত জন্মদিন জনগণকে অবহিত করুন। আপনারা খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে জাতির সঙ্গে প্রহসন করছেন। একটা লোকের কিভাবে ৫টি জন্মদিনের তারিখ হয়। সাহস আর সহমির্মিতা সৃষ্টাচার থাকলে জন্মদিনের নামে তামাশা বন্ধ করুন। জাতীর সঙ্গে তামাশা করবেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করে একযুগে সারাদেশে বোমা হামলা করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠিরা। যখন এক যুগে সারাদেশে বোমা হামলা হয় তখন বিএনপি কেনো নিরব ছিলো। তারা এই ঘটনার সঙ্গে নিশ্চয়ই জড়িত বলে নিরব ছিলো। বিএনপি দেশের সকল ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এমনকি ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ডও বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা দেশের মানুষকে হত্যা করে, দেশের জনগণকে আগুন পুড়ে মারে তাদের কাছে রাষ্ট্র নিরাপদ নয়। তারা বারবার শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি জাহানারা বেগম, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়াতুল ইসলাম স্বপন ও দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।