আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিশ্বনাথে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত করে প্রার্থী হয়েছেন দায়িত্বশীলগন।
বর্তমান সরকারের অধীনে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। কিন্তু বিশ^নাথের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উল্টো। প্রতিটি ইউনিয়নেই বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা অংশ নিয়েছেন এবং কিছুকিছু নেতাকর্মীকে প্রকাশ্যে ও লুকোচুরে প্রার্থীদের পক্ষে কাজও করতে দেখা যাচ্ছে।
বিশ্বনাথে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ নিখোঁজ এম ইলিয়াছ আলীর ই্উনিয়ন অংলকারীতে বিগত নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বর্তমান উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ নাজমুল ইসলাম রুহেল। বর্তমান নির্বাচনেও তিনি এবং যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. আতিকুর রহমান চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও রামপাশা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিশ^নাথ পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক বসির আহমদ, দৌলতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিগত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাফিজ আরব খান এবং দেওকলস ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. খায়রুল আমিন আজাদ এবং বিশ^নাথ ইউনিয়নে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মুহি উদ্দিন প্রার্থী হয়েছেন।
বিশ^নাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী বলেন, ইউনিয়ন নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তালিকা করে দলের কাছে পাঠানো হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা নেই। যদি প্রার্থী হন তাহলে উপজেলা বিএনপি তালিকা করে পাঠাবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৫ জুলাই ২০২৩

Discussion about this post