মোহাম্মদ নাজিবুল বাশার, মধুপুর (টাঙ্গাইল):
টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বৃহস্পতি (২ অক্টোবর) বিকেলে মধুপুর পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজামন্ডপ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিসর্জন ঘাটে গিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হয়।
শোভাযাত্রায় হাজারো তরুণ-তরুণী অংশ নেন। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। তরুণ-তরুণীরা নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন পরিবেশ। পূজা মন্ডপ থেকে মন্ডপে ছিল উৎসবমুখর আবহ।
এ বছর মধুপুর উপজেলায় মোট ৫৬টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে পৌরশহরে ২৪টি ছিল। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের মধুপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক বলেন, “প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা নির্ভয়ে ও আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপন করতে পেরেছি। এতে আমরা কৃতজ্ঞ।”
বিসর্জনকালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, আনসার ও ভলান্টিয়ারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা উদ্যাপন নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন জানান,“ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যেন উৎসব উপভোগ করতে পারে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় আমরা স্বস্থি প্রকাশ করছি।”
পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব শেষে ভক্তরা আবেগঘন পরিবেশে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানান। তাদের বিশ্বাস, আগামী বছর আবারও মর্ত্যে আবির্ভূত হয়ে দেবী দুর্গা অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাবেন এবং ভক্তদের কল্যাণ বয়ে আনবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন, মধুপুর থানায় ইনচার্জ এমরানুল কবীর, বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, নাছির উদ্দিন, রতন হায়দার, আরোও উপস্থিত ছিলেন এড. মোহাম্মদ আলী, মধুপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চৌধুরী স্বপন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী প্রমূখ।

Discussion about this post