বিয়ে করাতে দেরি করায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার এক যুবক তার বাবাকে খুন করেছেন। নিহত ওই বাবার নাম নিরঞ্জন শীল (৬০)। সে পাথরঘাটা সদর উপজেলার উত্তর হাতেমপুর এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার (৭ জুন) এই কনের ঘটনা ঘটেছে।
পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে নিরঞ্জন শীলের ছেলে নেপাল শীলের (২৫) বিয়ের কথা চলছিলো। কয়েক ধাপে বেশ কয়েকজন পাত্রী দেখার পরও নেপাল বিয়ে করতে পারেনি। এর জন্য সে তার বাবা ও পরিবারকে দায়ী করে। মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ১০ টার দিকে এনিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে নেপাল শীল খাটের তক্তা দিয়ে তার বাবা নিরঞ্জন শীলের মাথায় আঘাত করে।
ছেলের আঘাতে বাবা গুরুতর জখম হয়। এরপর বাবা নিরঞ্জনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে তার অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বরিশাল রওয়ানা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাথরঘাটার তালতলা বাজারে নিরঞ্জনের মৃত্যু হয়।
নিরঞ্জন শীলের স্ত্রী রাধা রানী জানান, আমার ছেলে কিছুটা মানষিক ভারসাম্যহীন। ছেলে তার ফুফু বিউটি রানীর প্ররোচনায় এমন কান্ড ঘটিয়েছে। তাদের সাথে আমাদের জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ আছে। আমি এর বিচার চাই। এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, এঘটনায় অভিযুক্ত নেপাল শীলকে ঘরে আটকে রেখেছিল স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। নিহতের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। সুরাতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//