পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কার্যক্রমের পরেও বহাল রয়েছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে ।
ছাত্রলীগের এই নেতার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৬ আগষ্ট একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তার বিয়ের কথা। এছাড়াও স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যেই ছবি আপলোড করে আসছেন বিবাহিত এই ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি । দেখা যায় তার ফেসবুক আইডির বন্ধু তালিকায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন সিদ্বান্ত নেয়া হয়নি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ নভেম্বর (বুধবার) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাইফুল ইসলামকে সভাপতি এবং তানভীর হাসান আরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে এই কমিটিতে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পদে নাম লিখিয়ে নিয়েছেন অনেকেই। অছাত্র,বিবাহিত সহ ছাড়া পূর্বে কখনো ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলো না তাদের এই কমিটিতে কাউকে বসানো হয়েছে সহ-সভাপতি আবার কাউকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে।
পূর্বের জেলা কমিটির সিনিয়র নেতাদের সহ-সভাপতি থেকে নামিয়ে বর্তমান কমিটিতে বানানো হয়েছে যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের প্রথম সারির এক নেতা বলেন, আমরা ক্ষমতার জন্যে ছাত্রলীগ করি না, ছাত্রলীগকে ভালোবেসে ছাত্রলীগ করি। যারা স্বার্থের জন্যে ছাত্রলীগ করেন তাদের দ্বারাই এমন গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করা সম্ভব। এইসব বিবাহিতরা ছাত্রলীগে থাকলে সত্যিকারে যারা ছাত্র এবং যারা ছাত্রলীগকে মন থেকে ভালোবাসে তারা সুযোগ পায় না। টাকা দিয়ে কমিটিতে ঢুকে এরা সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এদের জন্য ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট হয়। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তানভীর হাসান আরিফ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের বিবাহিত নেতা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ’কে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদকের উপর রেগে যান এবং বলেন,আমিতো জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক না। আপনি আমাকে জাস্টিফাই করার আগে জেলা কমিটিতে আরও যারা বিবাহিত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তারপর আমার কথা বইলেন। হ্যা আমার পরিবার থেকে পছন্দ করে একজনের সাথে এ্যাঙ্গেইজমেন্ট করেছে। এখন পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে আসিনি। এই বলে তিনি কথা শেষ না করেই ফোন কেটে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বহুদিন ঝুলিয়ে রাখার পরে জয়-লেখকের বিদায় বেলায় পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হ য ব র ল ভাবে ব্রিফকেসের বিনিময়ে অনুমোদন দিয়ে গিয়েছেন। তাই কে কি তা না দেখেই শুধু সিরিয়ালি নাম লিখে গিয়েছেন তারা। ইন্টার পড়ুয়া ছেলে,বিবাহিত আবার অছাত্র তারা হয়েছেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এতে কমিটি থেকে বাদ পরেছেন বহু ত্যাগী নেতা কর্মীরা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post