মাফরোজা সিদ্দিকা বুশরা, সুনামগঞ্জ থেকে : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিটের একাধিকবারের নির্বাচিত দীর্ঘকালীন জেলা ইউনিট কমান্ডার হাজী কে.বি রশীদ এর সহধর্মীনি মোছাঃ রাজিয়া বেগম (৬৬) ইন্তেকাল করেছেন। ৮ জুলাই শুক্রবার ফজরের নামাজের পর পরই তিনি শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার জেলা তথ্য অফিস সংলগ্ন বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস ও হার্টজনিত রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ পুত্র,পুত্রবধূ ও নাতী নাতিনসহ অগনিত গুনগ্রাহী আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। শুক্রবার বাদ জুমআ তেঘরিয়া ঈদগাহ ময়দানে মরহুমার নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়। সাবেক পৌর কমিশনার রেজাউর রহমান হেলাল,কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ,বর্তমান পৌর কাউন্সিলর আহসান জামিল আনাছ,আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক আল-হেলালসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার গুনগ্রাহী আত্মীয় স্বজনরা মরহুমার নামাজে জানাযায় উপস্থিত থেকে তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় মরহুমার ছোট ভাই তেঘরিয়া নিবাসী মোঃ সেলিম মিয়া,বোনের পক্ষে সমবেত মুসল্লীয়ানদের কাছে দোয়া কামনা করেন। পরে তাঁকে তেঘরিয়াস্থ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সুনামগঞ্জের জামাইপাড়া আবাসিক এলাকার মোহনা ২৪ নং বাসভবনের বাসিন্দা হিসেবে স্থায়ীভাবে বসবাসের একপর্যায়ে জেলার সকল অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসনে পালন করেন গৌরবোজ্জল ভূমিকা। ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল রোজ শুক্রবার কমান্ডার হাজী কেবি রশীদ ইন্তেকাল করেন। ৬ বছরের ব্যবধানে একই দিন শুক্রবার মৃত্যুবরন করলেন তার সহধর্মীনি। সর্বশেষ তাঁকে স্বামীর কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়।
জেলা ইউনিট কমান্ডার হাজী কে.বি রশীদ এর সহধর্মীনি মোছাঃ রাজিয়া বেগম এর মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে সুগভীর শোক ও মরহুমার শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন,সুনামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা নেতা ছিলেন হাজী কেবি রশীদ। তার এই জনপ্রিয়তার নেপথ্যের কারিঘর ছিলেন তার সহধর্মীনি।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নোমান বখত পলিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে একাধিকবারের নির্বাচিত সাবেক জেলা ইউনিট কমান্ডার হাজী কেবি রশীদের সহধর্মীনি রাজিয়া বেগমের মৃত্যুতে সুগভীর শোক প্রকাশ ও তাঁর শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,জননেত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের প্রতিনিধি হিসেবে হাজী কেবি রশীদ কমান্ডার নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির সময় সংসদের কমান্ডার পদ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন। তিনি নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করেননি। আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের সাথে তাঁর আত্মার সম্পর্ক ছিল। নির্বাচনে পাড়া মহল্লার কথা ভূলে গিয়ে তিনি ও তার সহধর্মীনি নীতির প্রশ্নে জগলুল ভাইয়ের পক্ষে অবস্থান নিতেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//