Print Date & Time : 11 May 2025 Sunday 10:23 am

বেইলি রোডে জমজমাট ইফতার বাজার, দাম নিয়ে অসন্তোষ

স্টাফ রিপোর্টার:
পুরান ঢাকার চকবাজারের পর ইফতারের জন্য বিখ্যাত রাজধানীর বেইলি রোড। নাটকপাড়া নামে খ্যাত বেইলি রোডে জমে উঠেছে এবারের ইফতারের বাজার। এখানে নানা ধরনের ইফতারের ঘ্রাণে ক্রেতারা বিমোহিত হলেও দাম নিয়ে রয়েছে অস্বস্তি।

বুধবার বেইলি রোডের ইফতারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এসব দোকানে জিলাপি ও হালিমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মাংসের পদ দিয়ে বানানো ইফতারের চাহিদাও কোনো অংশে কম নয়। এছাড়া গরমের কারণে লাচ্ছি ও ফালুদা বিক্রি হচ্ছে বেশ।

বেইলি রোডের ক্যাপিটাল কনফেকশনারিতে ইফতার কিনতে আসেন ওই এলাকার বাসিন্দা রাতুল হাসান। তিনি জানান, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ ও বেগুনি তার বাসাতেই তৈরি করা হয়। তবে মাংসের পদ, হালিম কিংবা জিলাপি দোকান থেকে নেন। এখানকার ইফতারের একটা ঐতিহ্য আছে। কিন্তু গতবারের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এবার জিলাপি কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। হালিমের দামও বেড়েছে।

রাতুলের মতো ইফতারের দাম বেশি বলে জানান আরও কয়েকজন ক্রেতা। তাদেরই একজন জেফরিন রেজা। তিনি বলেন, হালিম, জিলাপিসহ প্রায় সব ধরনের ইফতারের দাম গতবারের তুলনায় বাড়তি রাখা হচ্ছে। এটা তো আমাদের জন্য সমস্যা। পরেরবার দেখা যাবে আরও বাড়তি দাম নিচ্ছে। এ দেশে দাম বাড়লে আর কমে না।

পুরো বেইলি রোড ঘুরে দেখা যায়, এখানে বিভিন্ন দোকানে খাসি ও গরুর হালিম প্রতি হাড়ি সর্বনিম্ন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৩০০, ৫০০, ৮০০ ও ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বড় হাঁড়ির হালিম। প্রতি কেজি জাফরানি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা আর রেশমি জিলাপি ৪০০ টাকা।

এক কেজি খাসির চাপ ও ব্রেন মাসালা বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। গরুর চাপ, কালা ভুনা, গরুর কিমা, গরুর কলিজা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১২০০ টাকায়। খাসির লেগ প্রতি পিস ৫৫০ টাকা। চিকেন দোপেয়াজা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকায়। এছাড়া বিক্রি করা হচ্ছে, চিকেন কোপ্তা, গ্রিল চিকেন, চিকেন হারিয়ালি কাবাব, চিকেন রেশমি কাবাব, দেশি রোস্ট, চিকেন সাসলিক, পুঁই পাতার চপ। এখানে বেগুনি, আলুর চপ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি পিস ১০ টাকায়।

বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, দেশে কমবেশি সব পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় ইফতারির দাম কিছুটা বেশি।

নবাবী ভোজের এক বিক্রেতা জানান, বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার ইফতারের আইটেম তৈরিতে খরচ বেশি হচ্ছে। এ কারণে কয়েকটি আইটেমের দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//