দেশের সবচেয়ে বড়স্থল বন্দর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে রেলপথে গত ২০২২ সালের তুলনায় এবছর আমদানির পরিমাণ কমেছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন। এসময় পণ্যবাহী ওয়াগানের সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৬৭৭টি। এতে করে চলতি বছরে সরকারের রাজস্ব ঘাততি ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৭ টাকা।
সূত্র মতে জানা যায়, বর্তমানে দেশের ১৩টি বন্দরের সঙ্গে ভারতের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে একমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহন হয়। ২০২২ সালে রেলপথে ভারত থেকে ৮৬৭৫টি ওয়াগানে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এসময় সরকারের রাজস্ব এসেছে ২০ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৬২৪ টাকা। আর ২০২৩ সালে এসে ২৯৯৮টি ওয়াগানে আমদানি হয়েছে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক টন। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ কোটি ৮২ লাখ ৮১ হাজার ৯০৭ টাকা।
২০২২ সালের ১১ মাসের তুলনায় ২০২৩ সালের ১১ মাসে পণ্য পরিবহনে ওয়াগানের সংখ্য কমেছে ৫৬৭৭টি। আমদানি কমেছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন এবং রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৭ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যশোর-নড়াইল-ভাঙা রেলপথ চালু হলে পদ্মা সেতু হয়ে রেলে পণ্য পরিবহন আরও বাড়বে। ফলে রেলে কনটেইনার টার্মিনালসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো জরুরিভাবে সম্প্রসারণ করা দরকার।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জার্তিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, রেল পথে খরচ কম ও সাশ্রয়ের কারনে এপথে বানিজ্যে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেশি। তবে দূর্বল অবকাঠামোর কারনে ব্যবসায়ীরা বানিজ্যে আগ্রহ হারাচ্ছে।
বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে কার্গোরেল,পারসেল ভ্যান ও কনটেইনারে পণ্য আমদানি হচ্ছে। বৈশ্বিক মন্দায় রাজস্ব ঘাটতির জন্য কিছুটা দায়ী।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//