মসিয়ার রহমান কাজল,বেনাপোল।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ দিনে ১৩১ ট্রাকে করে ১ হাজার ৫২১ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
কেনা থেকে শুরু করে শুল্ককর মিলিয়ে আমদানি করা এই মরিচের কেজি প্রতি খরচ পড়েছে ৯৬-১০০ টাকা।
আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল সহ বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ। তবে দেশব্যাপী বন্যা এবং পূজা উপলক্ষে বন্দর বন্ধ হওয়ায় মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করছেন সাধারণ বিক্রেতারা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি বাড়লেও আড়তে তেমন কমেনি কাঁচা মরিচের দাম দেশে বন্যাকে পুঁজি করে কাঁচামাল গুদামজাত করে দাম বৃদ্ধি করেছেন আড়তদাররা।
বেনাপোল চেকপোস্ট বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা মধুমিয়া বলেন শুনছি এই বন্দরে প্রচুর কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। সেই হিসেবে তো ১০০ টাকার নিচে দাম হওয়া দরকার।অথচ ২৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনে খেতে হচ্ছে।
বেনাপোল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আহাদ আলী বলেন, বেশি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
বড় ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ মজুত করেছিল দাম বেশি পাওয়ার আশায়।আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমে যাবে।
বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন,পেঁয়াজে তেমন পড়তা না থাকায় এখন কাঁচা মরিচ আমদানি করছি। বর্তমানে কাঁচা মরিচ আমদানি অনেক বেশি পরিমাণে হচ্ছে। বাজারে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টা শিগগিরই কেটে যাবে। ১০ দিনে ১৩১ গাড়ি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াসিন জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, মূল্যতালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না, সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে কাঁচা মরিচ আমদানি অনেক বেশি পরিমাণে হচ্ছে। বাজারে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টা শিগগিরই কেটে যাবে।

Discussion about this post