মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার রায়ে কমল খংলার (৩৫) এক বছরের সাজা হয়েছিল। তবে আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে পারিবারিক পরিবেশে একজন প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতের আদেশে মুক্ত হয়েছেন কমল খংলা। একই সাথে তাকে তিনটি ফলজ গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
কমল মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার অহিদাবাদ চা বাগানের ধনু খংলার ছেলে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের উদ্যোগে কমল খংলার হাতে একটি আম, পেয়ারা ও জি-৯ উন্নত জাতের কলা গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।
আদালত প্রাঙ্গণে চারা প্রদানকালে বড়লেখা আদালতের সহকারী আইন কর্মকর্তা (এপিপি) গোপাল দত্ত, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আদালত পুলিশের সিএসআই ফখরুজ্জামান, জিআরও পিযুষ কান্তি দাস, ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী মো. রিপন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বড়লেখা আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, কমল খংলার (৩৫) বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা (নম্বর জিআর ৪০/২২) ছিল।
এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের বিচারকের রায়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিবারের সদস্যদের সাথে থেকে
কমলের এক বছরের সাজাভোগ শুরু হয়। এই সময় বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বন বিভাগের স্থানীয় নার্সারিতে কাজ করতেন কমল খংলা। গত ৩১ আগস্ট তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। প্রবেশন চলাকালে কমল সব শর্ত পূরণ করেছেন।এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী মো. রিপন মিয়া।চূড়ান্তভাবে মুক্ত হয়ে খুশি কমল খংলা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post