প্রচারণার প্রধান দুই মাধ্যম হচ্ছে পোস্টার ও মাইকিং। সংসদ নির্বাচন বলে কথা।আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার কাজ শুরু হয়েছে প্রতীক বরাদ্দের পর৷
এজন্য যশোরে ছাপাখানা এবং মাইক ব্যবসায়ীরা
প্রস্তুত নির্বাচন উপলক্ষে পোস্টার এবং লিফলেট ছাপার জন্য । তবে ছাপাখানা ও মাইক মালিকদের কন্ঠে মলিন সূর। তারা বলছেন নির্বাচন উপলক্ষে তেমন ব্যস্ততা নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছাপাখানাগুলোতে এখন চলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডার, ডায়েরি ছাপানোর কাজ। ছাপাখানার কয়েকজন কর্মচারী বলেন, কাগজের দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ। হয়তো আগের চেয়ে কম ছাপাবে পোস্টার। শহরের জামে মসজিদ লেনের আকাশ , ভাই ভাই প্রিন্টিং প্রেস ও কয়েকটি প্রেসের কর্যচারীরা জানান, নির্বাচন উপলক্ষে তেমন কোন ব্যস্ততা নেই। তারা বলছেন, যদি সবদলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে আমাদের নাওয়া খাওয়ার সুযোগ থাকতোনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানিয়েছে,
এখন প্রার্থীদের তো আর পোষ্টার টাকা খরচ করে ছাপাতে হয়না ; বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী গীফট দেয় ৷
মাইকপট্টির ব্যবসারীদেরও একই কথা। তারা বলেন,
আগে জাতীয় নির্বাচন মানে আমাদের শরীর থাকবে বিশ্রামহীন। সভা সমাবেশ নিয়ে রাতদিন একাকার ৷ এখন সেই দৌঁড়ঝাপ নেই বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটে সাদাকালো পোস্টার করা হবে। বাজারদর অনুযায়ী (৫৫ গ্রাম কাগজ) লিফলেট প্রতি হাজার ছাপা যাবে ৯৫০ টাকা, ১৫ ইঞ্চি বাই ২০ ইঞ্চির পোস্টার প্রতি হাজার ছাপা যাবে দুই হাজার টাকায়।
শহরের মাইকপট্টি এলাকার মাইক ব্যবসায়ী নিউ সুর ও সাথী’র স্বত্বাধিকারী আফতাব উদ্দীন মিন্টু জানান, এবার প্রতিদিন প্রচারণার জন্য ফুল সেট মাইক প্রতি ভাড়া পড়তে পারে ৪ শ’ থেকে ৫ শ’ টাকা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post