রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে ব্যাটারি চালিত অতিরিক্ত অটো রিক্সার কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুত করার লক্ষে পায়ে চালিত রিক্সা বাদ দিয়ে বর্তমানে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
মানুষের কাছে প্রথম দিকে অটোরিক্সাগুলো স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে এগুলোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে পটুয়াখালী জেলা সহ আশেপাশের উপজেলার মানুষের জন্য। মহাসড়ক অভ্যন্তরীণ সড়ক, ও সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চলাচল ক্রমেই বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট এবং বাড়ছে দূর্ঘটনা।
কুয়াকাটা – পটুয়াখালী- ঢাকা মহাসড়ক, সংযোগ সড়ক এবং পৌরশহরের মেইন রাস্তা গুলোতে অটোরিক্সার অবাধ চলাচলে প্রতিনিয়তই জ্যামের সৃষ্টি হয়। রিক্সাগুলো ব্যাটারি চালিত হওয়ায় এগুলো চার্জ করতে খরচ হয় অনেক বিদ্যুৎ । যার ফলে বিদ্যুৎ ঘাটতি ও লোডসিডিং বেড়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে রিক্সাগুলোতে দক্ষ চালক না থাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে রিক্সা চালানোর কারনে রিক্সা দূর্ঘটনা কয়েকগুন বেড়ে গেছে।
ঘনঘন দূর্ঘটনার ফলে যাত্রীদের মনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।ব্যাটারি চালিত এসব অটোরিক্সা অবিলম্বে বন্ধ করে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ চালক দ্বারা সীমিত আকারে শুধুমাত্র সংযোগ সড়কে রিক্সা চালানোর দাবি করেন সাধারন মানুষ।
পথচারী মাহমুদ হাসান বলেন, আসলে প্রথম প্রথম এই অটোরিকশা আসায় অনেক উপকার এবং ভালো হয়েছিলো। এখন এই গুলো অনেক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এখন শহরে যে পরিমাণ অটোরিকশা তাতে এমন ঝামেলা হয় যে শহরের কোনো সড়কে একটি অটোরিকশা যদি উল্টো পথে ঘুড়িয়ে দেয় তাহলে পরে বিরাট যানজট দাবি জানাচ্ছি অটোরিকশা ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক অটোরিকশা চালকদের অটোরিকশা না চালাতে দেওয়ার।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন ব্যাবস্থা নিচ্ছি, তারপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post