কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বড় ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর আলী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। নিহত রওশানারা তার বড়ভাই আব্দুর জলিলের স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় আসামি শুকুর আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সকালে শুকুর আলী বাথরুমে বসে তার মেয়ে বিথির কাছে পানি চাই। সে পানি না দিলে শুকুর আলী গালিগালাজ করে বিথিকে। এসময় তার ভাবি রওশনারাও বলে পানি দিতে পারব না বলে জানায় শুকুর আলীকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কোদাল দিয়ের ওশনারার মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই রওশনারার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা শুকুর আলীকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় এবং শুকুর আলীকে আটক করে। এঘটনায় রওশানারার ভাই আলি আজগার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ০২ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৪ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিকে শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৪ জুলাই-২০২২//

Discussion about this post