Sunday, 11 May 2025
🕗
দৈনিক দেশতথ্য
Advertisement
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
দৈনিক দেশতথ্য
No Result
View All Result

ভারতীয় মালাবার কোম্পানি এলে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে দেশের স্বর্ণ শিল্প

দেশতথ্য ডেস্ক by দেশতথ্য ডেস্ক
02/04/2022
in কৃষি
Reading Time: 2 mins read
0
Share on FacebookShare on Twitter Share on E-mail Share on WhatsApp

ভারতীয় কোম্পানি মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড’স চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশে ব্যবসা করার ঘোষণা দিয়েছে। দুবাইয়ে এর মুল কার্যালয় হলেও মূলত এটা ভারতীয় কোম্পানি। এই কোম্পানি আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি করা সোনার গহনা বাংলাদেশের বাজারে আনবে বলে জানিয়েছে। দুবাইয়ের মুভেনপিক গ্র্যান্ড হোটেলে অনুষ্ঠিত ফোরামে এ ঘোষণা দেয় মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের অর্থ ও প্রশাসনের পরিচালক আমীর সিএমসি।

এই ঘোষনার পর বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়তে শুরু করেছে। তারা মনে করছেন, ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রেডিমেট গহনা এনে ব্যবসা করলে কর্মহারা হবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক সোনার কারিগর। বন্ধ হয়ে যাবে শত বছরেরও পুরনো সব গহনা তৈরির কারখানা। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশী গহনা রফতানির সম্ভাবনাও ভেস্তে যাবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই কোম্পানিটি কেন এখন এমন ঘোষনা দিল? এতদিন তারা কোথায় ছিল? তাদের এই ঘোষণার মধ্যে কি দূরভিসন্ধি থাকতে পারে? এমন প্রশ্ন বর্তমান প্রেক্ষাপটে মোটেও অযৌক্তিক নয়। এমন কথাই বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন। কারণ মাত্র ক’দিন আগে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠি বসুন্ধরা গ্রুপ এই সেক্টরের দ্বার উন্মোচন করে বাংলাদেশে গোল্ড রিফাইনারী স্থাপন করেছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে নব উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতি (বাজুস)। তাদের আয়োজনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম জুয়েলারী এক্সপো ২০২২।

এই এক্সপো কেবল উদ্যোক্তাদেরই নয়, বাংলাদেশের জনমনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। তারা মনে করছে পোষাক রপ্তানীর পর স্বর্ণ রপ্তানী দেশের অর্থনীতিকে মজবুত অবস্থানে নিয়ে যাবে। স্বর্ণ চোরাচালন রুট নয়, বাংলাদেশ হবে স্বর্ণর গহনা রপ্তানীকারক দেশ। দেশ বিদেশের ক্রেতারা বাংলাদেশে আসবে সোনার গহনা কিনতে।

এই সব সম্ভানার স্বপ্ন দেখার পর মালাবার কেন দৈত্য রূপে বাংলাদেশে আসছে? তারা এলে বাংলাদেশের এই সেক্টরে কি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে দৈনিক দেশতথ্যের পক্ষ থেকে স্বর্ণ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক দিনেশ চন্দ্র পাল এ বিষয়ে বলেন, বিদেশী রেডিমেট গহনা দেশে আনার জন্য একটি চোরাচালানি চক্র আছে। তারাই চায় বিদেশী রেডিমেট গহনা উৎপাদকারীরা বাংলাদেশে এসে ব্যবসা করুক। এই চক্রটি চায় আন্তজার্তিক বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় স্বর্ণ শিল্প ধ্বংস হোক। এই জন্য তারা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মালাবারকে বাংলাদেশে আনার চক্রান্ত করছে। বর্তমানে বিদেশ থেকে রেডিমেট গহনা আসায় দেশী কারিগররা কাজ পায় না। এ জন্য সোনার কারিগরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।

দিনেশ চন্দ্র পাল আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে আমরা বিভিন্ন সময় চিঠি দিয়েছি, যাতে করে রেডিমেট গহনা আনা বন্ধ হয়। আমরা বার বার সরকারকে অনুরোধ করেছি গার্মেন্টেসের পরই যেন দেশের স্বর্ণ শিল্প প্রধান রফতানি পণ্য হয় সে সুযোগ করে দিতে। কিন্তু সরকার থেকে এ বিষয়ে কোন সাড়া নেই। অথচ আমাদের কারিগরদের তৈরি করা গহনার বিদেশে বিপুল চাহিদা রয়েছে। এখানকার কারিগরদের হাতে তৈরি গহনার ফিনিশিং ও সৌন্দর্য্য পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

দিনেশ চন্দ্র পাল বলেন, এখন সময় এসেছে দেশের স্বর্ণ শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা করার। সরকার থেকে কাঁচামাল বা আমাদেরকে কাঁচামাল আনার সুযোগ দিলে দেশে গহনা তৈরি করে রফতানি করা সম্ভব। বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আমরাই সরকারকে এনে দিব। তিনি বলেন মালাবার অন্য কোন বিদেশী বাংলাদেশে এসে ব্যবসা করুক আমরা তা চাইনা। এটা করা হলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। এদেশের লক্ষাধিক সোনার কারিগর বেকার হয়ে যাবে। বিদেশী কোম্পানির ব্যবসার পাশাপাশি অবৈধ গহনা আমদানি ঠেকাতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাকা স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক সংঘের সিনিয়র সহ সভাপতি শংকর বসাক বলেন, বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠান রেডিমেট গহনা নিয়ে যদি এ দেশে আসে তাহলে দেশের স্বর্ণ শিল্প শেষ হয়ে যাবে । এমন উদ্যোগ থেকে সরকারকে অবশ্যই সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশী কোন গহনা দেশে আনা যাবে না। কারণ আমাদের কারিগরদের হাতে তৈরি গহনার বিদেশে অনেক চাহিদা আছে। তারপরও বর্তমানে কাজের অভাবে আমাদের কারিগররা ভারতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। কারণ ভারত সোনা রফতানি করে। ভারত সরকারও প্রচুর রেভিনিউ পায় এখাত থেকে। বিদেশী কোম্পানিকে সুযোগ না দিয়ে দেশের কারিগরের তৈরি সোনার অলংকার রফতানির সুযোগ দিলে আমাদের সরকারেরও বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা রেভিনিউ আয়ের সুযোগ থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে শংকর বসাক বলেন, বিদেশী কোম্পানিকে ও বিদেশী গহনা আমদানি ঠেকান। নতুবা এ দেশের স্বর্ণ শিল্পীরা না খেয়ে মারা যাবে। সেই সঙ্গে দেশের রফতানিমুখী সম্ভাবনাময় এ শিল্প খাতটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।

ঢাকা স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক সংঘের সভাপতি ও বাজুসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গঙ্গাচরন মালাকার বলেন, সারা বিশ্বের  স্বর্ণ রফতানির প্রধান বাজার হলো দুবাই। সেখানে সব দেশের শো-রুম আছে। নেই শুধু বাংলাদেশের। আমরা যত দিন সোনার গহনা রফতানিতে না যাব তত দিন এ শিল্পের সাফল্য আসবে না। সরকারের রফতানি আয়ও বাড়বে না। সরকার এদেশে বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে এনে ব্যবসার সুযোগ না দিয়ে আমাদের তৈরি করা গহনা রফতানির সুযোগ করে দিক। আমরা গার্মেন্টসের চেয়ে বেশি রফতানি আয় এনে দিব সরকারকে। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত সারা বিশ্বের সোনার গহনার মোট প্রায় ৭৫ শতাংশ রফতানি করে। এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশী কারিগরদের কারণে। বাংলাদেশ থেকে তারা হাজার হাজার কারিগর নিয়ে গেছে। অথচ এই কারিগরগুলোর উৎপাদিত সোনার গহনা আমরাই রফতানি করতে পারতাম।

গঙ্গাচরন মালাকার বলেন, বর্তমানে ইতালি, তুরস্ক ও ইন্ডিয়া মেশিনে সোনার গহনা উৎপাদন করলেও আমাদের দেশে তৈরি অলংকারই সারা পৃথিবীর মধ্যে সেরা। এত সুক্ষ ও হালকা ওজনের গহনার পৃথিবীর কেউ বানাতে পারে না। তারপরও বিদেশী গহনা আমদানির কারণে আমাদের সোনার কারিগররা এখন অটো রিক্সা চালিয়েও জীবিকা নির্বাহ করে। এখন যদি মালাবার বাংলাদেশে আসে তাহলে লাখের অধিক কারিগর বেকার হয়ে যাবে । সরকার তাদের কর্মসংস্থান করবে কিভাবে? সুতরাং এদেশের স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা মালাবারকে বাংলাদেশে ব্যবসা করতে দিবে না।

বাংলাদেশের গহনা সারা বিশ্বে রফতানির সুযোগ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একাধিক বার উদ্যোগ নিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু সরকার থেকে সাড়া পাই না। এখন বসুন্ধরা গ্রুপ যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের উচিত একে পৃষ্ঠপোষকতা করে বড় করতে দেওয়া।

রাজধানীর তাঁতিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ভবনের ছোট-বড় কারখানাগুলো টুক টুক শব্দে গহনা বানানোতে ব্যস্ত কারিগররা। সেই সঙ্গে কপালে চিন্তার ভাজ। মালাবার বাংলাদেশে আসা খবরে বেকার হওয়ার আতংকে চিন্তিত আনন্দ গোল্ড ওয়ার্কসপের কারিগর ও মহাজন ৬৫ বছর বয়স্ক মদন পালকে বলা হয় তাঁতি বাজারের সবচেয়ে বয়স্ক ও সিনিয়র কারিগর। প্রায় ৪৫ বছর ধরে সোনার বালা বানিয়ে আসা এ কারিগর বলেন, এই শিল্পের এখন আর সুদিন নেই। কারণ বিদেশী রেডিমেট গহনা দেদারছে আসে। আগে তাঁতি বাজারে কারিগরদের জন্য হাটা যেত না। এখন তাঁতি বাজার ফাঁকা পড়ে আছে। গত কয়েকদিন শুনতেছি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মালাবার রেডিমেট গহনা এনে এ দেশে বিক্রি করবে। এটা হলে আমরা সবাই বেকার হয়ে যাব।

তিনি বলেন, এ শিল্পের অনেক কারিগর ভারত আগেই নিয়ে গেছে। তারপরও আমারা এটি ধরে রেখেছি। এখন ভারত বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চায়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশী কারিগররা আট আনায় যে গহনা তৈরি করতে পারে ভারতে সেটা করতে প্রায় দেড় ভরি সোনা লাগে। এজন্য ভারতের ঈর্ষা হয়। বিদেশী ক্রেতারাও বাংলাদেশী গহনা কিনতে চান। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের অভাবে আমাদের গহনা রফতানি করা সম্ভব হয় না।

মা গোল্ড হাউজ কারখানার মহাজন ও কারিগর সুধীর কুমার পাল বলেন, একজন কারিগরের ৩ থেকে ৪ বছর সময় নিয়ে গহনা তৈরির কাজ শিখে। এই শিল্পে দেশ জুড়ে লাখের অধিক শ্রমিক আছে।

তিনি বলেন, বিদেশী প্রতিষ্ঠান মালাবার বাংলাদেশে আসলে এই লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। আমাদের কারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এমনিতেই চোরাচালানে আসা রেডিমেট গহনার কারণে দেশের কারিগররা কাজ পায় না। তার উপর বিদেশি এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে আসলে দেশের স্বর্ণ শিল্প একেবারে মরে যাবে। কারিগরদের ও দেশের স্বর্ণ শিল্প বাঁচাতে হলে বিদেশী রেডিমেট গহনা দেশে না আনতে সরকারকে কঠোর হতে হবে।

সুদীর পাল বলেন, বিদেশী কোম্পানির বাংলাদেশে আসা ঠেকাতে প্রয়োজনে সারাদেশের সব স্বর্ণ কারিগররা আন্দোলনে মাঠে নামবে।

তাঁতি বাজারের আরেক কারিগর পলাশ মালাকার আমিন জুয়েলার্সের জন্য গহনা তৈরি করেন জানিয়ে বলেন, এ শিল্প এখন ভাল নেই। বিদেশ থেকে রেডিমেট গহনা আসায় কাজের চাপ কম। পুরো মাস কাজ করতে পারলে দিন পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে ভাল থাকতে পারি। না হলে সংসার চালাতে হিমশিম খাই। বিদেশী প্রতিষ্ঠান দেশে রেডিমেট গহনা এনে বিক্রি করলে পুরোপুরি বেকার হয়ে যাব।

তাঁতিবাজারের সোনার কারিগর প্রকাশ বর্মন বলেন, আমাদের হাতে তৈরি করা গহনার বিদেশে অনেক চাহিদা আছে। সরকারীভাবে এ শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা করলে দেশীয় কারিগরদের তৈরি করা গহনা বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। তাই আমরা চাই সরকার কোন বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে এদেশে আসার সুযোগ না দিক।

সন্দীপ জুয়েলারি ওয়ার্কসপের মহাজন ও কারিগর বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, আমার কারাখানার আপন জুয়েলার্সের গহনা তৈরি করা হয়। এই কারখানায় শ্রমিক কমতে কমতে  এখন মাত্র ৩ জন আছে। তারপরও কাজ নেই। মাসে গড়ে ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ থাকে। অর্ধেক মাসের আয় দিয়েতো পুরো মাস পরিবার নিয়ে চলে না। তাই এই শিল্প ছাড়ছে কারিগররা।

বাংলাদেশ ছেড়ে কারিগররা ভারত চলে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে যে কোন মূল্যে বিদেশী রেডিমেট গহনা দেশে আনা বন্ধ করে দেশী কারিগরের বানানো গহনাকে সুবিধা দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশী কারিগরের তৈরি করা গহনার বিদেশীদের কাছে অনেক চাহিদা আছে। সরকার থেকে সুযোগ করে দেওয়া হলে আমাদের তৈরি গহনা রফতানি করে দেশ উন্নত হবে। আমরাও ভাল থাকবো।

তাঁতিবাজারের সোনার কারিগর আফজাল তালুকদার ২০০২ সালে থেকে গহনা তৈরির কাজ করছেন জানিয়ে বলেন, বর্তমানে এ শিল্পের শ্রমিকরা ভাল নেই। কারণ দেশের বাজারে বিদেশী রেডিমেট গহনা ব্যাপক হারে ঢুকে। এ অবস্থায় বিদেশী প্রতিষ্ঠান দেশে আসলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।

বাংলাদেশের সোনার কারিগর ও কারখানার মালিক ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কারখানা বন্ধ হওয়ার আশংকায় তারা উদ্বিগ্ন। বেকার হওয়ার আতংকে কারিগররা। দেশের গহনা রফতানির পথ রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই দেশের স্বর্ণ শিল্পকে বাঁচিয়ে রফতানিমুখী করতে মালাবারের বাংলাদেশে আসা যে কোন মুল্যে ঠেকানোরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

যে যাই বলুক না কেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন সরকার দেশীয় গহনার পৃষ্ঠপোষকতা করলে এখাতের রফতানি আয় গার্মেন্টসকে ছাড়িয়ে যাবে। স্বর্ণ চোরাচালানি চক্র মালাবারকে বাংলাদেশে আনতে ইন্ধন দিচ্ছে এটা নিশ্চিত বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্প খাতের চাহিদা ও জনসমর্থন প্রবল। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে রেডিমেড গহনার আগ্রাসন বন্ধ করে দেওয়া সরকারের উচিত হবে।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//০২ মার্চ,২০২২//

Tags: ভারতীয় মালাবার কোম্পানি এলে মুখ থুবড়ে
প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

চাঁদ দেখা গেছে, মাহে রমজান শুরু

Next Post

বিশ্বে করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১০ লাখ, মৃত্যু ২৫০০

Related Posts

মেহেরপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল
কৃষি

মেহেরপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল

মেহেরপুরে বোরো ধানে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক
কৃষি

মেহেরপুরে বোরো ধানে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

মেহেরপুরে তামাক চাষীদের নিরব কান্না
কৃষি

মেহেরপুরে তামাক চাষীদের নিরব কান্না

Next Post
বিশ্বে করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১০ লাখ, মৃত্যু ২৫০০

বিশ্বে করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১০ লাখ, মৃত্যু ২৫০০

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

আবুল কাশেমের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

আবুল কাশেমের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু

নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু

সাপাহারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন

সাপাহারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন

সমুদ্র সৈকতে নেমে পর্যটকের মৃত্যু

সমুদ্র সৈকতে নেমে পর্যটকের মৃত্যু

অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তারের পর যা বললেন আ.লীগ নেতা

অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তারের পর যা বললেন আ.লীগ নেতা

আর্কাইভ

May 2025
S M T W T F S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
« Apr    

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী
ইমেইলঃ dtbangla@gmail.com

Mobile No- +88 01710862632
ঢাকা অফিসঃ ৩৩ কাকরাইল (২য় তলা)
ভিআইপি রোড, কাকরাইল ঢাকা -১০০০
প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠানোর ইমেল:
newsdtb@gmail.com
কুষ্টিয়া অফিস: দৈনিক দেশতথ্য
দাদাপুর রোড (মজমপুর)
(কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে)
মোবাইল:01716831971

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist