নিজস্ব প্রতিবেদক
কর্ণাটক (ভারত),নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাঘ এবং চিতাবাঘের আবাসস্থল সংযুক্ত থাকায় এদের সংরক্ষণের জন্য ভারতের সাথে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
পৃথিবীতে সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতি এবং বাংলাদেশে দুটি সংকটাপন্ন বড় বিড়াল প্রজাতির সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা এই প্রজাতিগুলির আবাসস্থল দেশগুলির সদস্যপদ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স গঠনে নীতিগতভাবে সমর্থন করি।
গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের কর্ণাটকের মহীশুর ইউনিভার্সিটিতে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণে শিকারের লক্ষ্যমাত্রা শূণ্যে নামিয়ে বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। এটা আশার বিষয় যে বাঘের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, অন্যান্য বন্য প্রজাতিসহ আমাদের জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণে সরকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাঘ- মানব সংঘাত কমাতে আমাদের সরকার গ্রাম টাইগার রেসপন্স টিম, কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ গঠন করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। বন্যপ্রাণীর দ্বারা ক্ষতিপূরণ বিধিমালা, ২০২১-এ বাঘের দ্বারা নিহত ব্যক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//