আবুল বাশার শেখ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদের সীমানা প্রাচীর থাকার কারণে চলাচলে চরম দূর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পরেছে প্রায় দশটি পরিবার। ভোগান্তির বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলীকে লিখিত ভাবে জানানোর পরেও কোন সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ করছেন ওই পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভালুকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত মহাসড়ক ঘেষা সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিদর্শন বাংলোর সীমানা প্রাচীর থাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন ওই দশটি পরিবারের মহাসড়ক হতে নিজেদের বাড়িতে প্রবেশ ও মহাসড়কে চলাচল করতে চরম দূর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই স্থানীয় বাসিন্দাদের। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিদর্শন বাংলোর দীর্ঘদিনের পুরোনো সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা। ইতো মধ্যে এক পাশের প্রাচীর ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পড়েছে পিছনের একটি পরিবার।
স্থানীয়রা জানায়, সওজ এর সীমানা প্রাচীর এর কারণে স্বাভাবিক যাতায়াত করা সম্ভব হয়না। পায়ে হেঁটে সওজ এর সীমানা প্রাচীরের নিকট দিয়ে মাথা নুয়ে বা দুরবর্তী স্থান দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এবং বাড়িগুলোর স্থাপনা সংস্কার করতে সংস্কার কাজের প্রয়োজনীয় মালামাল নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিদর্শন বাংলোর উত্তর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র সরু পথ দিয়ে কেউ মারা গেলে খাটিয়ায় করে লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয়না।
ভূক্তভোগী মো: শহিদুল ইসলাম জানান, সওজের সীমানা প্রাচীরের কারণে তারা নাগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিদর্শন বাংলোর সীমানা প্রাচীরের কিছু অংশ অপসারন করে, একমাত্র চলাচলের সরু পথটি (সংযোগ সড়ক) প্রশস্ত করে বাসিন্দাদের চলাচলে দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ ও ভোগান্তির স্থায়ী সমাধানের দাবী জানান। এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।

Discussion about this post